ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) এ মসজিদের টাকা হোষ্টেল মেরামতের কাজে লাগানোয় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ইন্সটিটিউটের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট ফারুক হোসেন মুন্সি একাধিক কার্যদিবসে অনুপস্থিত থেকেও একদিনেই অনুপস্থিত কার্যদিবসের হাজিরা সহি করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দুপুরে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই)’য়ে গিয়ে সুপারিনটেনডেন্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শারমীন সুলতানাকে পাওয়া না গেলে কথা হয় সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট ফারুক হোসেন মুন্সির সাথে। মসজিদ ফান্ড থেকে ৯ হাজার টাকা নিয়ে হোষ্টেলের পয়: নিস্কাসনের মেরমতের কাজ করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। অনুপস্থিত থেকেও পরে হাজিরা শীটে সহি করার ব্যাপারে তিনি বলেন আমি সব সময় অফিসে উপস্থিত থাকি; তবে কোন সময় মনে না থাকার কারণে হাজিরা শীটে সহি করা নাও হতে পারে। তা পরে আমি করে দেই।
এছাড়াও এর আগে পিটিআই’য়ে প্রবেশের দ্বিতীয় গেট ভেঙ্গে গ্রিল ও অন্যান্য সরঞ্জাম কি করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছু জানেননা বলে জানান। এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানে সামান্য হোষ্টেল মেরামতের কাজে মসজিদ ফান্ড থেকে টাকা নেওয়ায় মুসল্লিদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোমবার প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই)’য়ে গিয়ে সুপারিনটেনডেন্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শারমীন সুলতানার জানান, ওই সময় সমস্যা থাকায় মসজিদ ফান্ড থেকে নিয়ে হেষ্টেলের কাজ করা হয়েছে। আজ ধারের টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে । হাজিরা খাতায় একাধিক কার্যদিবসের সাক্ষর একই দিনে করার বিষয়ে তিনি বলেন,এই প্রতিষ্ঠানের সকলকে খুবই বিজি থাকতে হয়, অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়। সেক্ষেত্রে এক-আধদিন সহি করতে ভুলে যেতেই পারেন। তবে এটা আমাদের ক্লাস-১ অফিসারদের বেলায় তেমন কিছু না। ইতিপূর্বেও মসজিদ ফান্ডের টাকা নিয়ে জমা করা হয়নি প্রসঙ্গে তিনি কিছু জানেনা বলেও জানান।