হরিপুরে কেবি ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তালা
জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে কেবি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন প্রধানের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার সকাল দশটা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ফরম ফিলাপের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা রকম অনিয়মের অভিযোগে অফিসের দরজায় তালা দিয়ে তাকে আটক করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, হরিপুরে কেবি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন প্রধান দীর্ঘ দিন ধরে ওই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সেই সাথে এইচএসসি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপে সরকারি ফ্রি বাদে বিভিন্ন অযুহাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন।
কেবি ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে লাইব্রেরী ফি ১'শ টাকা, বিজ্ঞানাগার ফি ২'শ টাকা, ক্রীড়া ফি ১'শ টাকা,দুস্থ্য তহবিল/মসজিদ ৫০ টাকা, বোর্ড প্রতি ১৯৩০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৮'শ ৫৫ টাকা,রোভার্স স্কাউট গার্লস গাইড ফি ২৫ টাকা, বিদ্যুত বিল ১'শ টাকা , অনলাইন ফি ২'শ টাকা করে মোট ৩৫৬০ টাকা এবং মানবিক বিভাগে বিভাগে লাইব্রেরী ফি ১'শ টাকা, বিজ্ঞানাগার ফি ৫০ টাকা, ক্রীড়া ফি ১'শ টাকা,দুস্থ্য তহবিল/মসজিদ ৫০ টাকা, বোর্ড প্রতি ১৭৩০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪'শ ৯৫ টাকা,রোভার্স স্কাউট গার্লস গাইড ফি ২৫ টাকা, বিদ্যুত বিল ১'শ টাকা , অনলাইন ফি ২'শ টাকা মোট ২৮৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,লাইব্রেরী , বিজ্ঞানাগার , ক্রীড়া ফি ,দুস্থ্য তহবিল/মসজিদ,রোভার্স স্কাউট গার্লস গাইড ফি ,বিদ্যুত বিল ফি এর নামে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন অধ্যক্ষ, কলেজ এর লাইব্রেরী, বিজ্ঞানাগার থাকলে ও কোন কাজে আসে না আমাদের কে কখন বিজ্ঞানাগার ও লাইব্রেরীতে ক্লাস করানো হয়নি সেই সাথে ক্রীড়া ফি এর নামে অর্থ নেওয়া হচ্ছে কলেজে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষ খেলাধুলার আয়োজন করে নি, কলেজ মাঠে ভুট্টা চাষ করা হয় তা হলে এসকল অর্থ যাচ্ছে কোথায় আমরা এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এরি প্রতিবাদে কলেজ ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলি,।
কেবি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন প্রধানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বোর্ড ও কেন্দ্র ফি ব্যাতিত কলেজের আনুসাঙ্গিক খরচ রয়েছে শিক্ষার্থীদের রশিদ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ সহ বাকি অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে বলেন শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের সাথে খারাপ আচরণ করে তিনি তাদের সাথে কোন খারাপ আচরণ করেননি।
এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রায়হানুল হক মিঞা বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।