মোঃ আদনান হোসেন ধামরাই ঢাকা থেকে : ধামরাইয়ে স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে সাবেক ইউপি সদস্য মো: বাবুলকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ও মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামি শওকত ও ৮নং আসামী মুনছুর গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৮ই মার্চ) সন্ধ্যায় ধামরাই থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে সাবেক ইউপি সদস্য মো:বাবুল হত্যা মামলার ১নং আসামী শওকত (৩৮), পিতা-মোঃ করম আলী এবং ৮নং আসামী মুনছুর (৪৬), পিতা- মৃত আলেফ মিয়া,গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্হানীয় সুএে যানাযায়, গত ২১ফেব্রুয়ারি দুপুরে ধামরাই থানাধীন কুল্লা ইউনিয়নে বড় কুশিয়ারা এলাকায় হোম টাউন (গ্রীন সিটি)এর ভিতরে বাবুল ও তার স্ত্রী সরিষা মারাই এর কাজ করছিল। সেই সময়ে আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাবুলের স্ত্রী ও তার ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধর করে জখম করে এবং ইউপি সদস্য বাবুলকে রাম দা দিয়া মাথায় কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ১নং আসামী শওকত তার হাতে থাকা ধারালো ছ্যান দিয়া বাবুলকে মাথা সহ দুই পায়ে এলোপাথারী ভাবে কোপাইয়া গুরুতর ভাবে রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং আসামী শরীফ তার হাতে থাকা শাবল দিয়ে কপালে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। ২নং আসামী মনির তার হাতে থাকা চাকু দিয়া এলোপাথারী ভাবে পার মের দুই চোখে, কপালে সহ দুই গালে গুরুতর ভাবে জখম করে। ৮নং আসামী মুনছুর তার হাতে থাকা হাতুরী দিয়ে এলোপাথারী ভাবে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। উক্ত বিবাদীরা ভিকটিমকে মুমুর্ষ রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে উক্ত হাসপাতাল কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় ধামরাই থানার মামলা নং-৩১,এর গত ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে ২৪ ঘন্টার ভিতর মধ্যে উক্ত মামলার ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে ধামরাইয়ের আকসির নগরে সরিষা মাড়াই করার সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতা মোহাম্মদ বাবুলকে তার স্ত্রীর সামনে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন,তারপর থেকেই পুলিশ অভিযানে নামে এবং আসামিদের গ্রফতার করে,গ্রেপ্তারকৃতদের আজ সকালে (রোববার) রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।