শিরোনাম
◈ সরকার সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে ◈ ককটেল ফাটিয়ে সাভারে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে স্বর্ণ লুট ◈ সারা দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তালিকা হচ্ছে! ◈ ধনী মনে করে বিয়েতে রাজি হওয়ার পর সর্বস্ব লুটে ! ◈ এক যুগ পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফের চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত ◈ তামিম ইকবালের অপরাজিত শতকে মোহামেডানের বড় জয়  ◈ ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ (ভিডিও) ◈ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ, ফিরতি ২৪ মার্চ ◈ যেই অপরাধী হোক তাকে আমরা ওখানেই গ্রেপ্তার করবো: তথ্য উপদেষ্টা ◈ সোমবার নতুন দল নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে ইসি

প্রকাশিত : ০৯ মার্চ, ২০২৫, ০২:২১ দুপুর
আপডেট : ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতি: পরিচয় মিলেছে দুজনের 

রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত ছয়জনের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে একজন পটুয়াখালীর বাউফলের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা আমিনুল ইসলাম ও অন্যজন শ্রমিক দল নেতা সুমন মোল্লা। খবর: দৈনিক আমাদের সময়  

গতকাল শনিবার তাদের গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হলে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়।আরও জানা গেছে, আমিনুল পেশাদার ডাকাত। আগেও তাকে ডাকাতি মামলায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের নতুন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এলাকার বাসিন্দা ইকবাল মৃধার ছেলে।তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য।এ ছাড়া গ্রেপ্তার সুমন মোল্লা একই ইউনিয়নের পাশের গ্রাম আয়নাবাজ কালাইয়ার বাসিন্দা শাহজাহান মোল্লার ছেলে। তিনি কালাইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল আগে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল।একের পর এক ডাকাতির ঘটনার পর জেলা পুলিশের কয়েকটি টিমের যৌথ তদন্তে আন্তঃবিভাগ ডাকাত দল শনাক্ত হয়। অভিযান চালিয়ে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর আমিনুলসহ ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

ডাকাত দলকে আশ্রয় দেওয়াসহ অস্ত্রের জোগানদাতাও ছিলেন আমিনুল।এ ছাড়া একাধিক ডাকাতির নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে এ অভিযোগ স্বীকার করেছিল আমিনুল। 

বিভিন্ন সূত্রে থেকে ওই দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাদের পরিচয় জানাতে গিয়ে কেউ নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে ব্যস্ত থাকতেন আমিনুল ইসলাম। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিচিত ও প্রভাবশালী নেতা তিনি। 

এদিকে আমিনুল গ্রেপ্তারের পর তার সঙ্গে সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ফিরোজ পুত্র রায়হান সাকিব, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামী নেতার সঙ্গে একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

জানতে চাইলে বাউফল উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ মঞ্জু বলেন,‘আমি ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। উনি কমিটিতে কিভাবে আসলেন বলতে পারছি না। তবে ইউনিয়ন শ্রমিক দলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে বহিষ্কারের জন্য। ইতোমধ্যে কার্যক্রম চলছে।’

এ বিষয়ে বাউফল থানার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমিনুল পেশাদার ডাকাত এবং তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তাকে দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়