অবশেষে যৌথবাহিনীর অভিযানে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৮ মার্চ) সকালে সমন্বয়ক পরিচয়ে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে ১৭ জন পাগল নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন। পরে ওই বাড়ি পাগলদের আশ্রম করবে বলে জানায়।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ছোট কালিবাড়ীতে অবস্থিত জোয়াহেরের ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনে সদর উপজেলা সহকারী কমিমনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রউশন আরা বলেন, প্রথমে মিষ্টি ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিলো। সেই টাকা না দেয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে। আমি এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করবো। তিনি আরও বলেন, বাড়িটি আমার নামে, আমার স্বামীর নামে নয়। আমি এ ঘটনায় সঠিক বিচারের দাবি করছি।
সদর উপজেলা সহকারী কমিমনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফ বলেন, ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীনদের উদ্ধার করা হয়। এসব তাদের ভারসাম্যহীনদের সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) বাসায় ডুকে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) স্বপরিবারে আত্মগোপনে রয়েছেন। এর আগেও মিস্টির নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের বাসা ভাঙচুর করা হয়। উৎস: চ্যানেল২৪
