ইজিবাইক চুরির অপবাদে ঝিনাইদহে মিলন শেখ নামের এক যুবদলকর্মীর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ওবায়দুর রহমান গা ঢাকা দিয়েছেন। খবর: কালের কণ্ঠ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর নিকারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার মিলন শেখ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খাজুরা জোর্য়াদ্দারপাড়া গ্রামের মৃত ইমান আলী শেখের ছেলে। তিনি যুবদলের সক্রিয় কর্মী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়ায় চালিত ইজিবাইক রেখে জোহরের নামাজ পড়তে মসজিদে যান যুবদলকর্মী মিলন শেখ। নামাজ শেষে এসে ফিরে দেখেন ইজিবাইকটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ইজিবাইক না পেয়ে ইফতার শেষে তিনি ইজিবাইকের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলর ওবায়দুর রহমানের কাছে গিয়ে চুরির ঘটনা খুলে বলেন।
সে সময় ওবাইদুর ও তার ছেলে চঞ্চল ইজিবাইক চালক মিলন শেখকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে মিলন শেখের দুই হাত, এক পা ও গলার হাড় ভেঙে যায়। পরে তার চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
জানা গেছে, মিলন শেখ ঝিনাইদহ পৌর যুবদলের সদস্য।
শনিবার সকালে এ ঘটনা জানাজানি হলে শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে অভিযুক্ত ওবায়দুর রহমান ও তার ছেলে চঞ্চল রহমান গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় আহত ইজিবাইক চালককে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শেখরসহ দলের নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস বলেন, ‘মিলনের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। সে একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ।
আমি এ ঘটনার কঠোর শাস্তির দাবি করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘দলের ক্রান্তিকালে মিলন রাজপথে থেকে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। তবে নিজের জন্য এখন পর্যন্ত কিছুই করতে পারেনি। ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালাতো। এজন্য তার চিকিৎসার ব্যয় আমি বহন করব।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুর রহমান ও তার ছেলের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি। এমনকি বাড়িতে গিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অভিযুক্তদের আটকের জন্য পুলিশ কাজ করছে।’