শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৭ মার্চ, ২০২৫, ০১:৫০ রাত
আপডেট : ০৭ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাদা পোশাকে অভিযানে গিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটকা পড়লেন এএসআই

মোঃ আসাদুল্লাহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) স্থানীয় লোকজন আটক করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে ফিরোজ রানা নামের ওই এএসআইকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের হোসেনডাইং এলাকায়। ঘটনার পর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল করিম তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুকমল চন্দ্র দেবনাথ জানান, "ফিরোজ রানা নতুন যোগ দিয়েছেন এবং এলাকা ভালোভাবে চেনেন না। মাদক পাচারের খবর পেয়ে তিনি একাই অভিযানে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।"

এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধি জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এএসআই ফিরোজ রানা দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে হোসেনডাইং এলাকায় একটি  মোটরসাইকেলের গতিরোধের চেষ্টা করেন। এসময় ওই মোটরসাইকেল চালক কৌশলে দ্রুত পালিয়ে গিয়ে ছিনতাইকারী বলে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকারে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে ফিরোজসহ তার সঙ্গিদের ঘিরে ফেলে। এসময় তার সঙ্গে থাকা দু’জন পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে আটক হন ফিরোজ। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর থেকে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি জানান, সম্প্রতি এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ ছিলেন। ছিনতাই চেষ্টার খবর পেয়ে তারা ফিরোজ রানাকে ধরে ফেলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিউর রহমান বলেন,‘মোটরসাইকেলযোগে মাদক আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের দু’জন সোর্সকে নিয়ে ফিরোজ রানা ঝিলিম ইউনিয়নের হোসেনডাইং এলাকায় মাদক উদ্ধারে যায়। ওই সময় এক মোটরসাইকেল চালককে চ্যালেঞ্জ করলে সে তাদের ডিঙ্গিয়ে চলে এসে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করে’।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্তপুলিশ সুপার এ.এন.এম. ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, ‘ রাতে তিনজন সোর্সসহ সদর ফাঁড়ির এএসআই ফিরোজ রানা সাদা পোশাকে মাদক উদ্ধারে গিয়েছিলেন। এসময় হোসেনডাইং এলাকায় এক মোটর সাইকেল আরোহীকে থামতে বললে সে পাশ কাটিয়ে পালি যায় এবং ছিনতাইকারী বলে  চিৎকার করতে থাকলে সোর্সরা পালিয়ে যায় এবং লোকজন ছুটে এএসআই ফিরোজ রানাকে ধরে ফেলে। এসময় ফিরোজ রানা নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিলে স্থানীয় লোকজন আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ জনতার কাছ থেকে এএসআই ফিরোজ রানাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। তিনি বলেন- মাদক উদ্ধারে যাওয়ার আগে তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান নি। এঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে’। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়