স্টুডেন্ট ভিসায় পাঠানোর নামে অর্ধ কোটি টাকা আত্নসাত,ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
জাহিদ হাসান মেলান্দহ প্রতিনিধি জামালপুর : জামালপুরের মেলান্দহে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ ওঠেছে স্কুল শিক্ষক মো:আব্দুল জলিল(বাদলের) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৬ মার্চ দুপুরে আদ্রা বড় বাড়ি এলাকার ভুক্তভোগি পরিবারগুলো আব্দুল জলিলের(বাদল) বাড়িতেই সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বাবু লিখিত বক্তব্যে জানায়, গত ২০২৩ সালে আদ্রা বড় বাড়ি এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল বাদল মাস্টার (৫৫), তাঁর পুত্র রাগিব ইয়াসির সিনজন (২৫), পুত্রবধূ রোকেয়া আফরোজ প্রান্তি (২৪), ভাই রোবেল মিয়া (৩৫), স্ত্রী করোনা বেগম কনা (৪৫) পরস্পরের যোগসাজসে দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানোর কথা বলে ৬টি পরিবারের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা।
তাদের মধ্যে আ: জলিল বাদলের ভাগিনা হাবিবুর রহমান (২৭), সুলতান মাহমুদ (২৪), ভাতিজা রবিন মিয়া (২৪), রাজু মিয়া (২৫), বোন হাসনা বেগম (৫৫), মর্জিনা বেগম (৪৫), মমিনুর (৪৫)। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আদ্রা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ফর্সাসহ তার স্বগোত্রীয়রা লোকজন।
অভিযোগে বলা হয়, স্টুডেন্ট ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চ শিক্ষা ও উচ্চমানের বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে নান টালবাহানা শুরু করেছে। জাল কাগজপত্র তৈরি করে আমাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানোর কথা বলে ঢাকাস্থ কোরিয়ান দূতাবাসে পাঠায়। কোরিয়ান দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সকল কাগজপত্র জাল। পরে আমরা হতাশা হয়ে ফিরে আসি। এমন প্রতারণার বিষয়ে আমরা আত্মীয় স্বজন-এলাকাবাসীসহ আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কয়েক দফা দেনদরবার করা হয়। একপর্যায়ে আমাদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সময় নিয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। স্বজনরা ফোন করলেও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং, পাওনাদারদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা ও নানা রকম হুমকী-ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
এ ব্যাপারে আমরা মেলান্দহ থানায় অভিযোগ দিয়েছি।পুলিশ ঘটনার তদন্তও করেছেন। অভিযুক্তরা বাড়িতে না থাকায় তাদের মতামত জানা যায়নি।তবে জানা যায়, অভিযুক্ত আব্দুল জলিল নারায়ণগঞ্জে একটি স্কুলে শিক্ষতা করে।পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানেই থাকে অভিযুক্ত আব্দুল জলিল বাদল। মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান-বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণার একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন এস আইকে দ্বায়িত্ব দিয়েছি।