শিরোনাম
◈ এ বছর নির্বাচন আয়োজন কঠিন হতে পারে: রয়টার্সকে নাহিদ ◈ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো অভিযান চালানোর কারও এখতিয়ার নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ পাকিস্তান কাশ্মীরের একাংশ ‘চুরি করেছে’, ফেরাতে চায় ভারত! ◈ চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন যারা ◈ হিযবুত তাহরীর সভা-সমাবেশ করলে ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি ◈ এনআইডি ইসিতে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে : সিইসি ◈ যৌথ বাহিনীর অভিযানে ঢাকা মেডিক্যালে আটক অর্ধশতাধিক (ভিডিও) ◈ ভারতে শেখ হাসিনার ৭ মাস, যেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে জনগণ ◈ যে কারণে সামরিক ফ্লাইট স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন ◈ গত কয়েক দিন ধরে বেড়েছে অগ্নিদুর্ঘটনা, যে সতর্কবার্তা দিল সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ০৫ মার্চ, ২০২৫, ০৯:০৬ রাত
আপডেট : ০৬ মার্চ, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিশোরগঞ্জে দায়সারা বাঁধ সংস্কার, হাওড়ের ফসল ঝুঁকিতে

ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ : হাওড়ের মাঠে মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। কিছু দিন পরেই সোনালী ধানে ভরে উঠবে বিস্তৃর্ণ হাওড়। কিন্তু আগাম বন্যায় নিবিঘ্নে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে প্রতিবারই শঙ্কায় থাকতে হয় কৃষকদের।

কিশোরগঞ্জে বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে হাওড়ে নির্মাণ করা হয়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ। এখন চলছে বাঁধগুলো মেরামতের কাজ। তবে অভিযোগ উঠেছে, দায়সারাভাবে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ সংস্কার কাজ। পাশ থেকে গর্ত করে কাটা হচ্ছে মাটি। কৃষকরা বলেছেন, টেক্সসই বাঁধ না হলে ঝুঁকিতে পড়তে পারে হাওরের বোরো ধান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ইচ্ছামতোই  চলছে এসব বাঁধ মেরামতের কাজ। দূর থেকে মাটি এনে বাঁধ মেরামতের কথা থাকলেও পাশ থেকে গর্ত করে মাটি কেটে বাঁধে ফেলা হচ্ছে। কোথায় নদী থেকে কাঁদা তুলে চলছে কাজ। ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প কাজ শেষ করার কথা। তবে কোথাওবা শুরুই হয়নি প্রকল্প কাজ। এ অবস্থায় আসন্ন বোরো মৌসুমে ঝুঁকিতে পড়তে পারে হাওড়ের ফসল।

কাজের বিনিময়ে টাকা প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিসহ কৃষকের সমন্বয়ে পিআইসির মাধ্যমে বাঁধ মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মাটি ভরাট করে দুই পাশে ঘাস লাগিয়ে এসব বাঁধ মেরামত করার কথা থাকলেও দু'একটি ছাড়া বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ হচ্ছে দায়সারাভাবে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের ৯টি উপজেলায় প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ  ১২৯টি ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ হাওড় উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে রয়েছে  ৮৬টি বাঁধ।

জেলার ইটনা, মিঠামইন,অষ্টগ্রাম, ইটনা ও করিমগঞ্জে বেশ কয়েকটি বাঁধ পরিদর্শন করে দেখা গেছে, আগের বছরের সংস্কার করা বাঁধের ওপর সামান্য মাটি ফেলে দায়সারাভাবে চলছে বাঁধ মেরামত কাজ।

 মিঠামইন উপজেলার ঢাকি এলাকায় নদী থেকে ভেকু দিয়ে কাদামাটি তুলে ফেলা হচ্ছে বাঁধে। অনেক স্থানে বাঁধের পাশে গভীর গর্ত করে মাটি তোলা হচ্ছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, দূর থেকে ড্রাম ট্রাকে মাটি এসে বাঁধ মেরামতের কথা। কিন্তু কোথাও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। ইটনা উপজেলার জিওলের বাঁধ ছাড়া কোনো বাঁধই সঠিক নিয়মে হচ্ছে না।

তবে নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ মেরামত কাজ সার্বক্ষণিক তদারক করা হচ্ছে এবং সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে বলে দাবি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর। নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, নির্ধারিত সময়ে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন,  কোনো অনিয়ম হলে দায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাজ শেষ হলে সরজমিন বাঁধ পরিদর্শন করা হবে। প্রতি বছরই আমরা বাঁধ নিয়ে এমন অভিযোগ পাই। এবার কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়