ফেনীর পরশুরামে বাবার দায়ের করা মামলায় মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহাকে (১২) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে নিহার মামা জাবেদকেও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। খবর: দেশ রুপান্তর।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে মামা ও নানার প্ররোচনায় নিহা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তার ঘুমন্ত পিতাকে গরম তেল ঢেলে দগ্ধ করেছেন। এ ঘটনায় নুরুন্নবী বাদী হয়ে রবিবার সকালে মেয়ে নিহাকে প্রধান আসামি করে প্রথম স্ত্রী আয়েশার পরিবারের চার জনের বিরুদ্ধে পরশুরাম থানায় মামলা করেছেন। বাকি আসামিরা হলেন, নুরুন্নবীর প্রথম স্ত্রী আয়েশার পিতা মনির আহাম্মদ ও তার দুই ছেলে মো.জাবেদ ও আব্দুর রহিম।
নুরুন্নবী দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানা আক্তার। প্রথম ঘরে দুই মেয়ে নিহা ও লামিয়া আক্তার। এর মধ্যে লামিয়া গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে খুন হন। সে ঘটনার এখনো কুলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। লামিয়া হত্যার ঘটনায় মা আয়েশাকে জেলহাজতে পাঠানো হলেও ছয়মাস কারাভোগের পর তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিহা জানিয়েছেন, মামা জাবেদের নির্দেশে চেতনানাশক খাইয়ে তার বাবাকে ঘুমন্ত অবস্থায় গরম তেলে ঝলসে দিয়েছেন।
এদিকে মামলার আসামি ও নিহার মামা আবদুর রহিম বলেন, আমাদের পরিবারের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। ঘটনার সময় আমরা এলাকায় ছিলাম না। আমাদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলায় জড়িয়ে ফাঁসানো হয়েছে। লামিয়া হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।