ইফতেখার আলম বিশাল : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ হচ্ছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন গবেষক—প্রফেসর ড. জুবায়ের আল মাহমুদ, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুব ইসলাম ও প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান—এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ঢাকা ব্যাংক পিএলসি-এর সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পের আওতায় খরা সহনশীল ও অধিক উৎপাদনশীল জাতের চাষাবাদ চলছে। নেদারল্যান্ডের ‘ভ্যালেন্সিয়া’ জাতের আলু, বিনা সরিষা-৯, বিনা মসুর-৬ এবং উন্নত জাতের খিরা চাষের মাধ্যমে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।
গোদাগাড়ীর মোহনপুরের কাজীপাড়া মাঠের প্রদর্শনী প্লটে আলু হারভেস্ট করে দেখা গেছে, প্রচলিত জাতের তুলনায় ফলন প্রায় ৪০% বেশি হচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, দেশি আলুর তুলনায় ‘ভ্যালেন্সিয়া’ জাতের ফলন বেশি ও সময়ও কম লাগে। বিঘাপ্রতি প্রায় ১০০ বস্তা আলু উৎপাদন হওয়ায় তারা লাভবান হচ্ছেন।
সিএসআর ফান্ডের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। এই প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদে কৃষকের জীবনমানের উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রদর্শনী প্লটের আলু চাষী কৃষক জসীম উদ্দীন ও গোলাম মোস্তফা জানান সাধারণ আলুর চেয়ে নেদারল্যান্ডের ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলুর ফলন বেশি। দেশি জাতের চেয়ে সময়ও কম লাগে। বিঘা প্রতি ফলন প্রায় ১০০ বস্তা। এতে করে আমরা কৃষকেরা লাভবান হচ্ছি।