কিবরিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা মহিলা জামায়াতের সভানেত্রী মিনারা বেগম (৩৫) কে হত্যার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও ঘাটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে তাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে।
নিহত নারী নেত্রী উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারশনের সভাপতি আব্দুল আহাদ ইবনে আব্দুল মালেকের স্ত্রী। তিনি মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল ৪ঘটিকায় জানাজার নামাজে জামায়াত ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন, অন্যতায় মহাসড়ক অবরোধ সহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করবেন বলে হুশিয়ারী দেন। আগামী সোমবার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন। বিকেল ৫টায় জন্ম স্থান ফদ্রখলায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। বাহুবল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশ আসামী গ্রেফতার করতে পারছেনা, এসপির বক্তব্য আমাদের হতাশ করেছে, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের
গ্রেফতার করতে জানাজার নামাজ থেকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি।
নিহতের স্বামী আব্দুল আহাদ বলেন, আমার বড় মেয়ে বাড়িতে ছিল না, আমি সরকারী পোগ্রামে ও সংগঠনের রুকন বৈঠকে সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম, সন্ধ্যার পর বাড়িতে এসে দেখি
এমন কান্ড। আমার অবুঝ শিশু সন্তানটার সামনেই তার মাকে হায়ানের দলেরা হত্যা করে ছোট বাবুটাকে খাটের নিচে ফেলে চলে যায়, আমি একটু পরে আসলে ঠান্ডায় হয়তো আমার ছোট বাবুটাকেও হারাতে হতো।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, তবুও আমাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত কিছু করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পরে পেঠে ডেগার স্টেপ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্ত। নিহতের স্বামী ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টায় বাড়িতে এসে দেখতে পান তার স্ত্রী খাটের উপর পড়ে রয়েছে, ৭ মাসের শিশু সন্তান খাটের নিছে পড়ে আছে। বড় মেয়ে সুমাইয়া বাড়িতে ছিল না।
আপনার মতামত লিখুন :