শরীয়তপুরের জাজিরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। নিজেদের ফসল রক্ষার জন্য খেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রেখেছিলেন তারা। সেই ফাঁদেই প্রাণ হারালেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে নাওডোবা ইউনিয়নের ইউনিয়নের পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার বালিয়া কান্দি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই দম্পতি হলেন, ইদ্রিস খাঁ (৬৫), তিনি বালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত মঙ্গল খাঁর ছেলে ও শেফালী বেগম (৬০), তিনি বালিয়াকান্দী গ্রামের মৃত আক্কেল মোল্লার মেয়ে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বন্যপ্রাণী সজারুর আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে নিজেদের ভুট্টা খেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রেখেছিলেন ইদ্রিস খাঁ (৬৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০)। কিন্তু সেই ফাঁদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই আজ শনিবার সকালে খেত পরিদর্শনে যান তারা।
প্রথমে ইদ্রিস খাঁ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান।
স্ত্রী শেফালী বেগম তাকে বাঁচাতে ছুটে যান, কিন্তু ছোঁয়া লাগতেই তিনিও বিদ্যুতের স্পর্শে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা। মুহূর্তের মধ্যেই দুজনের নিঃসাড় দেহ পড়ে থাকে ক্ষেতের মাটিতে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর পরিবারের সদস্যরা তাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন।
পরে স্থানীয়রা এসে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং পুলিশকে খবর দেয়।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে নাওডোবা ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রেজাউল করিম পঞ্চায়েত কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার ওয়ার্ডে এমন একটি দুর্ঘটনা এটা আসলেই দুঃখজনক ব্যাপার। ওই দম্পতির দুই ছেলে তিন মেয়ে। আমরা পরিবারের সাথে কথা বলেছি। তাদের আর্থিক বা অন্য যেকোনো বিষয়ে আমরা পাশে আছি।
এবং সেই সঙ্গে আমাদের কৃষকদের এই ঘটনা থেকে সচেতনতামূলক শিক্ষা নেওয়া উচিত।'
এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এটি একটি দুঃখজনক দুর্ঘটনা। এখন এই বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। উৎস: কালের কণ্ঠ।
আপনার মতামত লিখুন :