শিরোনাম
◈ জুনের মধ্যেই একসঙ্গে করা সম্ভব পাঁচ স্থানীয় নির্বাচন: সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ◈ ঝিনাইদহে তিন জনকে হত্যা ও 'চরমপন্থি দলের দায় স্বীকার' নিয়ে ধোঁয়াশা ◈ নিজ জমির মতো ভোটকেন্দ্রও পাহারা দিতে হবে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ◈ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান সারজিস আলমের (ভিডিও) ◈ এসব অপমানজনক কথায় আমি ভয় পাই যতোটা, মন খারাপ হয় তারচেয়ে বেশি: আসিফ নজরুল ◈ কী বার্তা দিচ্ছে আখতারের ফেসবুক পোস্ট  ◈ বিবিসিকে তিন লাখ ৯৮ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা ◈ মাস্কের ছেলের কাণ্ডে ডেস্কই সরিয়ে ফেললেন ট্রাম্প! (ভিডিও) ◈ ইংলিসের শতকে রানের রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেলো অস্ট্রেলিয়া ◈ মাইকে ঘোষণা দিয়ে চাঁদাবাজির ভিডিও ভাইরাল, যুবদল নেতা বহিষ্কার (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৩:১৭ দুপুর
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আর কোনো দিন নিজেকে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত করব না’

‘পীযূষ কান্তি রায় আমার প্রতিবেশী। তিনি ছিলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাধারণ সম্পাদক। তাঁর ইশারায় চিতলমারীর সবকিছু চলত। অপকর্ম চালাতে তিনি উপজেলায় একটি সিন্ডিকেট বাহিনী গড়ে তোলেন। আর এই পীযূষ বাহিনীর হাত থেকে জীবন বাঁচতে আমি যুবলীগে নাম লিখিয়েছিলাম। আর কোনো দিন নিজেকে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত করব না।’

সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে এ কথাগুলো বলছিলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী মুসলিমপাড়া গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী মো. আলমগীর খান (৬০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত শাহাজান খানের ছেলে। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলমগীর খান বলেন, ‘ভালো-মন্দ বোঝার পর থেকে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে জড়িত ছিলাম। আমার ছোট ছেলে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক ছিল। কিন্তু গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় আমার ও আমার দুই ছেলের ওপর হুলিয়া জারি করে। আমাদের সপরিবারে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে বলেন। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় সেই সময় তার স্কুল থেকে আমার ছোট ছেলে আরমানকে বের করে দেয়। আমি তাকে বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এরপর আমাদের তিনজনের ওপর পুলিশের নির্যাতন শুরু হয়।’

আলমগীর খান আরও বলেন, ‘জীবন ও পরিবারের সম্মান বাঁচাতে আমি যুবলীগে যোগ দেই। আমাকে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি করা হয়। কিন্তু আমি মন থেকে কখনো যুবলীগ করিনি। শুধুমাত্র পীযূষ বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা ও পুলিশের হয়রানি থেকে বাঁচতে যুবলীগে নাম লিখিয়েছিলাম। কিন্তু আজ থেকে স্বজ্ঞানে, সুস্থ মাথায় আমি ইউনিয়ন যুবলীগের ওই পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। আমি জীবনে কোনো দিন আর আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করব না। তাই ভবিষ্যতে আমি যাতে পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারি, সে জন্য গ্রামবাসী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— স্থানীয় মো. আবু জাফর মোল্লা, মো. শহীদুল ইসলাম, আবু সাইদ হাওলাদার ও মিজান বাওয়ালী প্রমুখ। উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়