টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে ডেকে এনে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ধর্ষণ
আরমান কবীর : টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রেমিকাকে ডেকে এনে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার মধুপুর উপজেলার পৌর শহরের মালাউড়ী কাজী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মধুপুর থানা থেকে ৩ থেকে ৪ শত মিটারের মধ্যেই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ কৌশলে অভিযুক্তদের আটক করেছে।
অভিযুক্ত দুই বন্ধু হলো- উপজেলার পঁচিশা গ্রামের সাইদুর রহমান খান রুবেলের ছেলে ফাহাদ খান ফাহিম (১৯) এবং একই জেলার গোপালপুর উপজেলার চরমােহাইল হেমনগর গ্রামের (মধুপুর মালাউড়ী কাজীপাড়ার ভাড়াটিয়া) মনিরুজ্জামানের ছেলে নাঈম মাহাদী সাফি (১৮)।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী পরিবারসহ একই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। এ ঘটনায় বুধবার দিনগত রাত ১২ টার পর তরুণীর মা বাদী হয়ে মধুপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা ও পর্ণোগ্রাফি ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ওই তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকের সুবাদে ৮ মাস আগে ফাহিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা বিভিন্ন স্থানে ডেটিং করে বেড়াতো। বিয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে, শারীরিক সম্পর্ক করে। ফাহিম তার বন্ধু সাফির কাছে ওইসব ছবি শেয়ার করে। এসব ছবি নিয়ে প্রেমিকের বন্ধু সাফি তরুণীকে ব্ল্যাক মেইল শুরু করে। ওইসব ছবি ডিলিট করার কথা বলে এক পর্যায়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ফাহিম বন্ধু সাফির পরিবারের ভাড়া বাসায় ওই তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে।
সর্বশেষ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে দেখা করতে বন্ধু সাফির একই বাসায় আমন্ত্রণ জানায় প্রেমিক ফাহিম। আলাপের এক পর্যায়ে ফাহিম আবারও জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। গোপনে আপত্তিকর ছবি তুলে বন্ধু সাফি। পরে সেই ছবি দেখিয়ে সাফি সুযোগ নিতে চাইলে ফাহিম বাধা না দিয়ে এতে সম্মতি জানায়।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবির ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা ও পর্ণোগ্রাফি ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। ভিক্টিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুপুর সার্কেল) আরিফুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পরই অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ কৌশলে অভিযুক্তদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। তারা ব্ল্যাকমেইল করে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে টাকাও দাবি করতো। আটককৃতদের বিরুদ্ধে শুধু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা নয়, পর্ণোগ্রাফির ধারায়ও মামলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটকৃতরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিবে বলে আশা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :