আবদুল ওহাব, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া শাজাহানপুরে খাউড়া মেলায় দোকানিদের কাছ থেকে ১৮ হাজার, ১৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা করে খাজনা আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করা হয়েছে। এসব ব্যাবসায়ীরা সেখানে মাত্র ১২ ঘন্টা দোকানদারী করেছেন। আর এভাবে খাজনার নামে চাঁদাবাজি করতে বাধা দেয়ায় মারপিট করার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে মেলার দোকানীরা জানিয়েছেন।
বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলার খোট্রাপাড়া ইউনিয়নের জালশুকা এলাকার খাউড়া মেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বেলা ৩ টার দিকে মিষ্টি দোকানী মাফিজার অভিযোগ করে বলেন, তিনি সকাল ১০ টা থেকে মেলায় দোকান বসিয়েছেন। এ পর্যন্ত আসল এবং লাভ মিলে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। অথচ তার কাছে খাজনা দাবী করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এ নিয়ে ইজারাদারের লোকজন ও তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ও তর্ক বিতর্কের পর অবশেষে অনুনয় বিনিনয় করে ১৮ হাজার টাকা খাজনা দিয়েছেন। এসময় তার দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
অপর মিষ্টি দোকানি শাহীন আলম বলেন, তার কাছে ২০ হাজার টাকা খাজনা চাওয়া হয়। আর দিতে অস্বীকার করায় দোকান বন্ধ সহ মারপিটের হুমকি দেয়া হয়। পরে আশেপাশে লোকজনের অনুরোধে ১০ হাজার টাকা নিতে রাজী হলে তা পরিশোধ করেন।
মেলা ঘুরে দেখাগেছে, ৫ হাজারেরও বেশী দোকান বসেছে। সে হিসেবে এক দোকান থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়া হলে এবারের মেলায় কয়েক কোটি টাকা ইজারা নেয়ার নামে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
এমনিভাবে প্রতি দোকানদারের নিকট থেকে টাকা আদায় করায় দোকানীরা কাদতেছিল। এসময় তারা বলেন, তাদের এখন খালীহাতে বাড়ী ফিরে যেতে হবে।
আর সর্বনিম্ন খাজনা ছিল ৫ হাজার টাকা। সংগত কারনে সকলের প্রশ্ন- এটা খাজনা আদায়,? নাকি চাদাবাজি? দোকানীরা আরও অভিযোগ করেন প্রকাশ্যে এসব ঘটনা ও পাশেই পুলিশ ক্যাম্প বসানো হলেও তারা কোন আইনি সহায়তা পাননি।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ওসির নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব ইউএনওর দেখার দায়িত্ব।
আর শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তায়েফুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে কেউ জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :