কাজী রাশেদ,চান্দিনা (কুমিল্লা) : কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা উন্নীতি করা হয়েছে ২৮মে ২০১৬ সালে ।এতে কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হলেও হত দরিদ্রদের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে খাবারের মান অত্যান্ত নিন্ম মানের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন অভিযোগ করে
বলেন, “মাছ আর মুরকার টুকরার যেই সাইজ এডি দিয়া দুই লোকমা ভাত খাওন যায় না।” কেন সব্জি দেয় না ? “ দেয় , মাছ বা মুরকার সাথে এক বা দুই টুকরা আলুই সব্জি,যারার টাকা আছে তারা হোটেল থিকা কিন্যা খায়।
বেশি গরীব যারা তারা তো পারে না।” হাসপাতালে রোগীর খাবার সাপ্লাইয়ের ঠিকাদার আব্দুর রহিমের সাথে খাবারের মান নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে
একশত পঁচিশ টাকায় তিন বেলা খাবার পরিবেশনের দরপত্র পেয়ে রোগীদের খাবার পরিবেশন করে আসছি। প্রতি বছর টেন্ডার হওয়ার কথা থাকলেও হাসপাতালের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা টেন্ডার আহ্বান না করায় ওই দরে তিন বেলা খাবার দিয়ে আসছি। ওই সময় জিনিস পত্রের দাম কম ছিল। এখন ওই জিনিসপত্রের দাম ৩/৪গুন বেড়ে গেছে।যেহেতু টেন্ডার হচ্ছে না আমি প্রতি মাসে লোকসান দিয়ে খাবার সাপ্লাই দিচ্ছি।১২৫ টাকার উপর আবার ১৭% ভ্যাট দিতে হয়।
খাবারের মেন্যুতে কি কি আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সকালে ডিম,পাউরুটি ,কলা দুপুরে ভাত মাছ-সব্জি/মুরগী-সব্জি ,রাতে ভাত, মাছ-সব্জি/মুরগী- সব্জি। প্রতি বছর বছর খাবারের দরপত্র আহ্বান করার কথা থাকলেও কেন দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে টেন্ডার আহ্বান করছেন জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান
বলেন,আগের কর্তকর্তারাও তো দরপত্র আহ্বান করে নাই। আপনিও তো তিন বছর পার করছেন আপনি কেন টেন্ডার আহ্বান করেননি প্রশ্ন করলে এর কোন জবাব দেননি ডাঃ আরিফুর রহমান।
আপনার মতামত লিখুন :