আনন্দপুর গ্রামে নাসিমা আক্তার (৪৫) নামে এক নারীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজ শয়নকক্ষের বিছানা থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খুন হওয়া নাসিমা আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওই নারীর মাদকাসক্ত ছেলে সিয়ামকে (১৯) আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সিয়াম পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে। নিহতের লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসা মিয়া জানান, ওই নারীর স্বামী শুক্রবার ভোরে নামাজ পড়তে মসজিদে যান। ফিরে এসে দেখেন বিছানাতেই নাসিমা আক্তারের লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পরে জানা যায়, ছেলে সিয়াম তার মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে। সিয়াম মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় চলাফেরা করতো।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হত্যাকাণ্ডের শিকার নাসিমা আক্তারের ছেলে সিয়ামকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। সে পুলিশকে প্রথমে জানায়, প্রায়ই সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতো। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে সে তার মাকে হত্যা করেছে।
আবার জানায়, জায়গাজমি নিয়ে তার মামাদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আগামী রবিবার এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ হওয়ার কথা ছিল। মামাদের ফাঁসানোর জন্যই মাকে হত্যা করেছে।
ওসি জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলায় সিয়ামকে গ্রেফতার দেখানো হবে। উৎস: বাংলাট্রিবিউন।