শিরোনাম
◈ আয়নাঘর ঘুরে দেখে ফেসবুকে যা লিখলেন ভারতীয় সাংবাদিক ◈  নগদ-এ প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে: দুদক ◈ পুলিশের সামনেই চিঠিতে ‘ভাইকে গোপন বার্তা’ দিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনাম ◈ আসিফ নজরুলের বক্তব্যে ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ প্রকাশ (ভিডিও) ◈ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রুজুকৃত মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার ◈ অধিনায়ক শান্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করতে চান ◈ হাসিনা সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নৃশংস পদক্ষেপ নিয়েছিল : ফলকার টুর্ক ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিব-তামিমবিহীন বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখছেন না পন্টিং ◈ পরিদর্শন করা আয়নাঘরগুলোর কিছু জায়গায় নতুন প্লাস্টার দেখা গেছে: প্রেস সচিব ◈ যেসব কথা লেখা রয়েছে ‘আয়নাঘর’-এর দেয়ালে

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:১৬ দুপুর
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গোয়াইনঘাটে বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার 

শাহ আলম,গোয়াইনঘাট(সসিলেট)প্রতিনিধি : সিলেটের গোয়াইনঘাটে একটি ব্রিজের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার করছে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও মসজিদের কয়েকশত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। উপজেলার ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাঁচপাড়া (তুড়গ্রাম) খালের উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোটি খালের দুই পারের মানুষের পারাপারের একমাত্র সম্বল। কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোর স্থানে অতি দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

গ্রামের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার গারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোওর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, পাঁচপাড়া মাদরাসা সহ  মসজিদে সকালে পড়তে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বড় অংশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। এছাড়া গ্রামবাসী চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলা সদরসহ পার্শ্ববর্তী কোওর বাজার এবং ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের জন্য এই সাঁকোটি ব্যবহার করে থাকেন। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। বিষয়টি স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের অবহিত করা হলেও অদ্যবধি তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। 

স্থানীয় সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলাম জানান, 'সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও অবিভাবকরা বাধ্য হয়ে ছেলে মেয়েদের এই বাঁশের সাঁকো পার করে স্কুল, মাদরাসা ও মসজিদে পড়ালেখা করতে পাঠান। বর্ষাকালে তো আর কষ্টের শেষ থাকেনা। গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা একটি খাল পুরো গ্রামকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। খালের দুপারেই গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য মাটির রাস্তা রয়েছে, শুধু নেই সংযোগ ব্রীজ। খালের দুপারের মানুষের চলাচলের ভোগান্তি লাগবে এখানে ব্রীজ নির্মাণ খুবই জরুরী। 

আর শিক্ষার্থীরা জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি পারাপার হতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী পা পিছলে সাঁকো থেকে খালের পানিতে পড়ে বইপত্র নষ্ট ও আহত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোর স্থানে এখনও ব্রিজ বা কালভার্ট  নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আলিম উদ্দিন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে জরাজীর্ণ এই বাঁশের সাঁকোটির পরিবর্তে এখানে ব্রীজ নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়