নিনা আফরিন ,পটুয়াখালী : পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এমনকি এ ঘটনার সময় নারী ও শিশু আদালতের পিপি এবং জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিনকে মারধর করা হয়। রুহুল আমি বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বলেন, ‘পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা করা হয়নি। তাই জামায়াত আলাদাভাবে ৯টি পদেই প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং জেলা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান সভাপতি ও অ্যাডভোকেট মো. মহিউদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীসহ ৯টি পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সিদ্ধান্ত নেয়। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশনার কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তাদের বাধা দেয়া হয় এবং প্রার্থীদের মারধর করে বিএনপিপন্থী একটি অংশের আইনজীবীরা। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের সব প্রার্থীদের জামানতের এক লাখ টাকা আমার কাছে ছিল। ওই টাকাও নিয়ে যায়। ফলে আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি’।
এ প্রসঙ্গে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এ অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি আইনজীবী সমিতি চত্বরে। বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তারা এসব রটাচ্ছেন’।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম মোজাম্মেল হক তপন বলেন, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন ৫ আগস্টের আগে আওয়ামীলীগের ছিলেন। এখন জামায়াতের কাধে ভর করেছে। তাই তাকে দেখে আইনজীবীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। এখন স্বাভাবিক হয়েছে এবং জামায়াতের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন’।
প্রসঙ্গত: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হবার কথা রয়েছে এবং আজ মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।