শিরোনাম
◈ একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাশ করতে হবে : মির্জা ফখরুল  ◈ বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের অর্থ ছাড়ের দুই কিস্তির প্রস্তাব উঠছে জুনে ◈ ঢাবিতে ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচারসহ ৩ দাবিতে ছাত্র-জনতার মশাল মিছিল ◈ যেসব অঞ্চলে রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা ◈ সেই শিশুটির জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস ◈ ২০২৬ সালেই এলডিসি থেকে উত্তরণ, প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ মডেল মসজিদ নির্মাণে সৌদি আরব কোনো টাকা দেয়নি, হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম: প্রেস সচিব ◈ হঠাৎ বাংলাদেশের ‘ফোর্স’ নামের এক সিনেমায় পাকিস্তানি মডেল! ◈ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় শিশুটির মরদেহ, জানাজা সম্পন্ন

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৮:৪৪ রাত
আপডেট : ০৫ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৪ মাস ধরে গ্যাস সংকটে বন্ধ যমুনা সার কারখানা

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে : গ্যাস সংকটে প্রায় ১৪ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। কারখানা বন্ধ থাকায় মরিচা ধরে নস্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ। চলতি মৌসুমে ইউরিয়া সারের সংকটের আশংঙ্খা করছে কৃষক। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে কারখানার সাথে জড়িত দৈনিক মজুরি ভিত্তিক হিসেবে নিয়োজিত ও পরিবহনের শত শত শ্রমিক পরিবার।

কারখানা সুত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে জামালপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় যমুনা সার কারখানা। এ কারখানাটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা নিয়ন্ত্রণাধীন এবং কেপিআই-১ মানসম্পন্ন সার উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দৈনিক ১ হাজার ৭০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল কারখানাটি।

কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে কারখানার উৎপাদন কমে বর্তমানে ১ হাজার ২০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করছে। গত বছরের (২৪ সাল) ১৫ জানুয়ারি থেকে যমুনার গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এরপর থেকেই যমুনায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। দ্রুত গ্যাস সংযোগ দিয়ে বৃহৎ এ শিল্প কারখানাটি সচল রাখতে না পারলে পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে যমুনা সার কারখানা থেকে জামালপুর জেলাসহ শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, ও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলারের মাধ্যমে যমুনার ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হয়। যদি এভাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকে তবে কারখানার কমান্ডিং এরিয়ায় সার সংকট হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।

স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, আমদানী করা সার গুলোর গুনগত মান ভালো না। যমুনার সারের মান ভালো। যমুনার সার জমিতে ব্যবহারের ফলে ফসল বৃদ্ধি পায়। গাছও সতেজ থাকে। বাইরের দেশ থেকে আমদানিকৃত সার জমিতে ব্যবহার করলে ফসল ভালো হয় না। জমির উর্বরতা কমে যায়।

কারখানার দৈনিক মজুরী ভিত্তিক, ট্রাক পরিবহনের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বলেন, কারখানার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৪ শতাধিক ট্রাক, লড়ি পরিবহন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ থাকায় পরিবহনের ড্রাইভার, শ্রমিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমাদের গাড়ী গুলো পড়ে পড়ে মরিচা ধরছে। কারখানা সংলগ্ন বিভিন্ন ছোট-বড় দোকান গুলো এখন বন্ধের পথে। কারখানাটি বেশিদিন বন্ধ থাকলে এক সময় চিনি ও পাট শিল্পের মতো এ শিল্পও বন্ধ হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করেন তারা।

এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আ.স.ম মোসলে উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটিতে গ্যাস সংকটে সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আমরা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। আশা করি খুব তারাতাড়ি কারখানাটিতে পূনরায় গ্যাস দেয়া হবে এবং আমরা উৎপাদনে ফিরতে পারবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়