কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মেয়ে তাহুরা সুলতানা রেখা অবশেষে পায়ে হেঁটে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিনের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণ শেষ করলেন বৃহস্পতিবার রাতে ,আর নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুক্রবার এক পোস্টের মাধ্যমে জানান নিজের পায়ে হেটে দেশভ্রমনের অনুভুতি।
তাহুরা সুলতানা রেখা ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৬টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জিরো পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করেন। ৫১ দিন হেঁটে হেঁটে তেঁতুলিয়ায় এসে শেষ করলেন ভ্রমণ। তবে এ পায়ে হাটার মাঝে বেশ কয়দিন নেপাল ভ্রমন ও করেছিল । অবশেষে ১০০১ কিলোমিটার সড়ক পথ পাড়ি দিয়ে
শুক্রবার রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টে এসে শেষ করেন টেকনাফ টু তেঁতুলিয়ার ভ্রমণ।
শুরুটা একা করলে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে পথে পথে তাকে পরিচিত অপরিচিত অনেকেই সার্বিক সহযোগিতা এবং সাথে ছিলেন ।
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের রশিদ আহমেদ ও তৈয়বা খাতুন দম্পতির মেয়ে তাহুরা সুলতানা রেখা। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট তাহুরা বাঁশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমানে সরকারি) থেকে এসএসসি পাশ করে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ভ্রমন ও পায়ে হেঁটে দেশ দেখার ব্যাপারে অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তাহুরা সুলতানা রেখা বলেন, পরিবারে আমি সবার ছোট, ছোট কাল থেকেই ঘোরাঘুরি এবং চ্যালেঞ্জিং কোনো বিষয় গ্রহণ করতে আমার ভালো লাগে। এসব কারণেই হেঁটে দেশভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে যাত্রা শুরু করি।
আমার পুরো জার্নিতে পুরো বাংলাদেশের ১ হাজার কিলোমিটার হাইকিং, সঙ্গে যমুনা নদী সাঁতরানো, হিমালয়ের তিনটা পাহাড়ের যে অর্জনগুলো ছিল এই জায়গায় শেষ হলো। জার্নিটা শেষ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
হাঁটতে গিয়ে যেখানে বিরতি নিয়েছি সেখানে মানুষের ভালোবাসা ও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় আমি অভিভূত। রেখা আরো বলেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা জরুরি। তাই এই পদযাত্রার মাধ্যমে মানুষও যাতে হাঁটায় উদ্বুদ্ধ হয়, সেটি আমি চাই। একই সঙ্গে হেঁটে হেঁটে আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি মানুষকে হাঁটায় উদ্বুদ্ধ করতেই আমার এই যাত্রা।আমার ‘জুম ওয়াইল্ড’ নামে ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে ট্রাভেলিংয়ের প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী নিয়ে দোকান আছে। সেইখান থেকে অর্জিত টাকা জমিয়ে এ জার্নি করেছি।
বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টের জিরোফলকে পৌঁছেই তাহুরাসুলতানা রেখা বলেন, ১ হাজার কিলোমিটার মাইলফলক শেষ হলো। তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টে আমি আসলে খুব লেটে চলে আসছি । আমার সন্ধ্যা ৫টা বা ৬টা হয়ে যায়। সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও আমাকে এখানে আসতে দেওয়া হয়েছে। এটার জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ।
এ দীর্ঘ জার্নিতে যারা পাশে ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাহুরা বলেন, আমার এ জার্নির সঙ্গে এই মুহূর্তে যারা জড়িত আছে তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে যারা আমার এ জার্নির সঙ্গে ছিল সবার প্রতি আমি খুবই কৃতজ্ঞ ও ভালবাসা সবাইকে।
আপনার মতামত লিখুন :