শিরোনাম
◈ অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই ◈ নদীর জলবন্টন নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকের ফল আপাতত শুন্য ◈ শাহাবাগ একদিনে গড়ে উঠেনি : হাসানাত আব্দুল্লাহ ◈ পাকিস্তানে ট্রেনে হামলা: সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার ১০৪, নিহত ১৬ ◈ বিদ্যুৎ ব্যবহারে ডিপিডিসির বিশেষ নির্দেশনা ◈ নন-এমপিও শিক্ষকদের দাবি মেনে নিল সরকার, আন্দোলন প্রত্যাহার ◈ ‘কোনো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না’, পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান মাহফুজ আলমের ◈ মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি লাকি আক্তারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে (ভিডিও) ◈ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সেনাবাহিনী নিয়ে ভুয়া খবরের প্রতিবাদ আইএসপিআরের ◈ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে জলবায়ু ঝুঁকি বাড়বে বাংলাদেশেও!

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৬:৩৩ বিকাল
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে ভুল নকশায় নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্করণের দাবিতে গণ-চিৎকার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ভুল নকশায় নির্মিত শহীদ মিনার সংস্করণের দাবিতে গণ চিৎকার কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা। শনিবার (০৮ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে বোয়ালমারী সাংস্কৃতিক ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অবস্থান করেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। 
 
নাট্যকার ও কবি গাজী শামসুজ্জামান খোকনের সভাপতিত্বে ও চলচ্চিত্র অভিনেতা পরিচিতি রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, হাইকোর্টের আইনজীবী, ছড়াকার গাজী শাহিদুজ্জামান লিটন, সাপ্তাহিক চন্দনা সম্পাদক কাজী হাসান ফিরোজ, চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফ শাহিনুর আলম, নাট্যজন খান মোস্তাফিজুর রহমান,জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সোহেল,দৈনিক জনকণ্ঠের বোয়ালমারী উপজেলার নিজস্ব সংবাদদাতা ও সাপ্তাহিক সময়ের ভাবনা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এন কে বি নয়ন, বাউল কবি শাহাদাৎ হোসেন, যমুনা টিভির বোয়ালমারী প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিকজন মুহাব্বাত জান চৌধুরী, কবি স্বচ্ছ রিজাউন রহমান, সমাজ কর্মী সুমন রাফি, জং হাবিব প্রমুখ। 
 
কর্মসূচীর অন্যতম কর্মী, কবি ও সাংবাদিক আমীর চারু বাবলু বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি ভুল নকশায় নির্মিত হয়। শুরু থেকেই আমরা এটার সংস্করণের দাবিতে প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এসেছি। প্রতিবারই আশ্বাস দেওয়া হয় সংস্কারের কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস চলে গেলে আর কোনো প্রতিশ্রুতি মনে রাখেন না।
 
সাপ্তাহিক চন্দনা সম্পাদক কাজী হাসান ফিরোজ বলেন, বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ার পর যুক্তফ্রন্ট সরকার ১৯৫৬ সালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণে শিল্পী হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদকে একটি নকশা তৈরি করতে দায়িত্ব দেন। তাদের করা শহীদ মিনারের রূপকল্প ছিলো দেশমাতৃকার প্রতীক হিসেবে মাঝের স্তম্ভটি হবে বৃহত। যা শহীদ সন্তানের মর্যাদায় মাথা নুয়ে দাঁড়ানো স্নেহময় মা। আর মাকে ঘিরে, দেশমাতৃকাকে রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে দুই পাশে দাঁড়ানো  মাথা উঁচু করা বুক টান করে বীর অকুতোভয়ী সন্তানগণ। অথচ আমাদের শহীদ মিনারের বীর সন্তানের আদলে তৈরি স্তম্ভ রাখা হয় নাই। 
 
এ বিষয়ে সাংস্কৃতিক কর্মী খান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন. আমরা শুরু থেকেই সংস্কার চেয়ে দাবি জানিয়ে এসেছি। এবার আন্দোলন নামতে বাধ্য হয়েছি। সংস্কার না করলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
 
হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাড. শাহিদুজ্জামান লিটন বলেন- ভুল নকশায় নির্মিত শহীদ মিনারে আমরা আর শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চাই না। প্রয়োজনে এর পাশে সঠিক তাৎপর্য ধারণ করা বাঁশ কাঠ দিয়ে তৈরি  শহীদ মিনার করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবো। আমরা অচিরেই প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীরা আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারির আগেই শহীদ মিনারটির সংস্কারে জোর দাবি জানান।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়