শিরোনাম
◈ হান্ড্রেড বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটারের কেউই দল পেলেন না ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব ◈ গালি দেওয়া সেই সংবাদ উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দিতে বললেন হাসনাত ◈ বাংলাদেশে থাকতে চাই না, আমাদের বার্মা ফেরত পাঠাও, খাদ্য সহায়তা কমানোয় দেশে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা ◈ সৌদি আরবের হঠাৎ সিদ্ধান্তে হাজারো ওমরাহযাত্রী  বিপাকে ◈ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া তরুণদের নিয়ে আরেকটি দল গঠনের ইঙ্গিত ◈ কী ঘটেছিল সেই রাতে, কেঁদে কেঁদে জানালেন আছিয়ার মা ◈ কালবৈশা‌খীর সঙ্গে ‌সিলেটে শিলাবৃষ্টি (ভিডিও) ◈ ৩৭টির মধ্যে ৭টি রাজনৈতিক দল সংস্কার বিষয়ে মতামত দিয়েছে ◈ আবু সাঈদের রক্তমাখা জামাসহ আলামত জব্দের অনুমতি পেল ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:৫০ দুপুর
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নওগাঁয় চিকিৎসক হত্যাকান্ডের ১৭ বছর পর পাঁচ আসামীর যাবজ্জীবন

আরিফ হোসেন স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ : নওগাঁর মহাদেবপুরে ১৭ বছর পুর্বে ঘটে যাওয়া আলোচিত ফজলুর রহমান হত্যাকান্ডে জড়িত ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। রায়ে একই সাথে তাদের প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং দন্ডবিদির ১৪৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে অতিরিক্ত আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

গেল বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ ওই রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নওগার মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের আতুরা গ্রামের মৃত সুবিত আলীর ছেলে ইব্রাহিম , রাইগাঁ গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আশরাফ, একই গ্রামের তছির উদ্দীনের ছেলে শহীদুল ইসলাম , আব্দুস ছালাম, আবুল কালাম আজাদ ।
রাষ ঘোষণার সময় আসামীরা প্রত্যেকেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত ও মামলার রায় সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জেলার রাইগাঁ গ্রামে ফজলুর রহমান নামে এক  চিকিৎসককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই হত্যকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহানাজ বেগম বাদী হয়ে ঘটনার পর একই দিন মহাদেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় পুলিশী তদন্তের পর দ্বিতীয় দফায় অধিকতর তদন্ত শেষে সিআইডি আদালতে ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মামলাটি আদালতে চলাকালীন সময়ে ৩  আসামীর মৃত্যু বরণ করেন।  
পরবর্তীতে ১৬ জনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দেড় যুগের অধিক সময় ১৭ বছর ধরে মামলাটি চলার পর ২২ জন স্বাক্ষী সাক্ষ গ্রহন শেষে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামীপক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার  রায় ঘোষণা করে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।

ওই রায়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানী করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলী অ্যাডভোকেট সওকত ইলিয়াস কবির। আসামী পক্ষে শুনানী করেন অ্যাডভোকেট অমরিন্দ্রনাথ ঘোষ ও অ্যাডভোকেট মোকছেদ আলী মন্ডল।
রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মামলার বাদী নিহত ফজলুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ বেগম বলেন, এ রায়ে আমরা পুরোপুরি ন্যায় বিচার পাইনি।

আরো এক মূল আসামীকে খালাস দিয়েছেন আদালতের বিচারক। তাই আমরা ওই আসামীকে খালাস দেয়ার কারনে  উচ্চ আদালতে আপিল করব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়