জিয়াবুল হক,টেকনাফ (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত ও অপহরণের মূলহোতা মো. শফি। তিনি ‘শফি ডাকাত’ নামেই পরিচিত। শফি ও তার সহযোগীরা অস্ত্র হাতে পাহাড় ও ক্যাম্পে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাংলাদেশীরা।
মো. শফি (২৮) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের সি ব্লকের দিল মোহাম্মদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মো. শফির নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত ও অপহরণকারী গ্রুপ টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া, নয়াপাড়া ও মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে। এই গ্রুপের হাতে ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় একাধিক বাঙালি অপহরণের শিকার হয়েছেন। শফির নেতৃত্বে ক্যাম্পে চলে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণ। নিরীহ মানুষের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। তবে ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পান না।
এ ব্যাপারে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, রোহিঙ্গা ডাকাত ও অপহরণকারীদের মূলহোতা শফি ডাকাত। তার অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ক্যাম্পের একাধিক রোহিঙ্গা ও ক্যাম্পের আশপাশের বাঙালিরা। একাধিকবার স্থানীয়দের বাড়িতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে লোকজন তুলে নিয়ে গেছেন। কৃষিকাজ করার সময় অপহরণের শিকার হয়েছেন অনেক কৃষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাদিমুড়া ক্যাম্পের একজন রোহিঙ্গা মাঝি বলেন, ‘শফিসহ তার গ্রুপের সদস্যরা দিনে-দুপুরে অস্ত্র হাতে ক্যাম্পে ঘুরে বেড়াই। রাত হলে আমরা তাদের ভয়ে থাকি। ক্যাম্পের আনাচে-কানাচে তাদের সোর্স রয়েছে। এই সোর্সের মাধ্যমে তারা সব সংবাদ সংগ্রহ করে। তাদের অপহরণ বাণিজ্য ও বেপরোয়া কর্মকাণ্ড দিন দিন বেড়েই চলেছে।’
এ বিষয়ে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. কাউছার সিকদার বলেন, রোহিঙ্গা শফি ডাকাতসহ তার গ্রুপের সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোসহ এপিবিএন পুলিশ কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :