শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে ‘অরুণাচল’ ও ‘আকসাই চীনকে’ ভারতের অংশ দেখানোয় চীনের আপত্তি ◈ জনগণের আস্থা না থাকলে পুলিশ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে না : ডিএমপি  ◈ ডিআইজিসহ ৩ পুলিশ সুপার আটক ◈ বিপিএল সেরা একাদশ বানালো ক্রিকইনফো ◈ রাতের মধ্যে গ্রেফতার না করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-পুলিশের বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে: সারজিস আলম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি ◈ ৬৪ জেলায় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বিএনপির কর্মসূচি ◈ শেখ হাসিনা দালাই লামা নন, ভারতের উচিত তাকে সমর্থন বন্ধ করা: দ্য প্রিন্ট ◈ ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ ◈ মাস্টারমাইন্ড বিশ্বাস করি না, ছাত্র নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান: জামায়াত আমির (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:৩৮ দুপুর
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন অপহৃত ৫ যুবক

জিয়াবুল হক,টেকনাফ (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ী এলাকায় জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকালে অপহৃত পাঁচজনকে দুইদিন পর ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাদের ছেড়ে দিতে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ প্রদান করেছে স্বজনরা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অপহৃতদের ৫ জনকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়েনের পানখালী গহীন পাহাড়ের পাদদেশে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী।

অপহৃতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোহাম্মদ হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মো. আবুইয়া (২০)।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়া এলাকার ১৫ জন লোক স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে স্থানীয় চাকমা পাড়া সংলগ্ন এলাকার পূর্ব পাশের পাহাড়ী এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের জিন্মি করে। পরে তাদের মধ্যে ৫ জনকে জিন্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার ২ দিন পর দুর্বৃত্তরা তাদের ছেড়ে দেয়। এর আগে বুধবার রাতে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে কয়েক দফায় আলোচনা করে ৫ জনের পরিবার মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠানোর পর এদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’

তবে মুক্তিপণের টাকা কি প্রক্রিয়ায় কাকে পাঠানো হয়েছে, তা বিস্তারিত বলেছেন না স্বজন।

এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছিল। এক পর্যায়ে এদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরাও মুক্তিপণ প্রদানের কোনো তথ্য পুলিশকে জানাননি। ৫ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত ১৩ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২২৪ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়