শিরোনাম
◈ ফের ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক উত্তেজনা: টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট ◈ শিকলে বাঁধা ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন আজহারী ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা জারি ◈ ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে ভাঙচুর-আগুন ◈ পাকিস্তান এ’ দলের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ◈ তামিম ইকবাল লঞ্চে করে ট্রফি নিয়ে বরিশাল যেতে চান ◈ বিপিএলের ফাইনালে আজ ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস মুখোমুখি ◈ ধানমন্ডি ৩২ এ হামলার বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার ◈ কঠোরভাবে আইন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ করুন: সরকারকে বিএনপি

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০২ দুপুর
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে ছবিমুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের দাবিতে মানববন্ধন

সনত চক্র বর্ত্তী, ফরিদপুর প্রতিনিধি :নারীকে বেপর্দা করে নয়, একমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে ছবিমুক্ত ‘জাতীয় পরিচয়পত্র’ প্রণয়নের দাবীতে মানববন্ধন করেছে "ফরিদপুর জেলার পর্দানশীন মহিলা বৃন্দ "আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মহিলারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
 
ছবিমুক্ত ‘জাতীয় পরিচয়পত্র’ দাবিকরা পর্দানশীন নারীরা বলেন, ‘শুধুমাত্র পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে পর্দানশীন নারীরা বৈষম্যের শিকার। গত ১৬ বছর যাবৎ অসংখ্য পর্দানশীন নারীর নাগরিকত্ব আটকে রাখা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও করা হচ্ছে বঞ্চিত। পরিচয় যাচাইয়ে জোর করে বেগানা পুরুষের সামনে চেহারা খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে। পদনাশীন নারীরা এসব হেনস্তার অবসান চান। চেহারার বদলে তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবি তোলেন।
 
তারা বলেন, একজন নারী ছবি তুললে দুটি গুনাহ হয়। একটি ছবি তোলার গুনাহ, অন্যটি বেপর্দা হওয়ার গুনাহ। আবার ওই ছবিটি পরবর্তীতে যতজন বেগানা পুরুষ দেখবে বেপর্দা হওয়ার গুনাহ তত বাড়তেই থাকবে। এমনকি মৃত্যুর পরও ওই ছবির কারণে বেপর্দার গুনাহ জারি থাকবে। পর্দানশীন নারীরা সেই গুনাহ থেকে বাঁচতে চান।
 
সমাবেশে পর্দানশীন নারীরা তিনটি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো:- বিগত ১৬ বছর যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা, পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও গোপনীয়তার অধিকার অক্ষুন্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা; সকল ক্ষেত্রে পরিচয় সনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা এবং পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় কোনো পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলকভাবে রাখার ব্যবস্থা করা।
 
সমাবেশ শেষে পর্দানশীন নারীরা ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও  জেলা  শিক্ষা কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়