শিরোনাম
◈ ভারত থেকে শেখ হাসিনার অবিরাম বিবৃতির কারণেই ভাঙচুর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ◈ ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব বাংলাদেশের ◈ শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে এখনও জ্বলছে আগুন, চলছে লুটপাট ◈ ‘হাসিনা ভুল প্রজন্মের সঙ্গে পাঙ্গা নিয়েছে’ ◈ ছিনতাই ঠেকাতে 'স্মল আর্মস পাচ্ছেন' ট্রাফিক সার্জেন্টরা ◈ ক্ষমতার কারিগরেরা উধাও: কে কোথায় আছেন হাসিনার ঘনিষ্ঠরা? ◈ সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাড়িতেও  আগুন দিল বিক্ষুব্ধ জনতা (ভিডিও) ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে জিনিসপত্র সরাচ্ছে উৎসুক জনতা (ভিডিও) ◈ এবার ওবায়দুল কাদেরের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দিল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা (ভিডিও) ◈ নিয়োগ বাতিল: সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সবিচালয়ের সামনে অবস্থান

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৮ দুপুর
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বরিশালের সেরনিয়াবাত ভবন এখন ধ্বংসস্তূপ

ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনার ভাগ্নে ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নগরীর কালীবাড়ি রোডের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বরিশালের সেরনিয়াবাত ভবন এখন ধ্বংসস্তূপ। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে বারোটার পর ছাত্র-জনতা সেরনিয়াবাত ভবন নামের ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে এবং ভাঙচুরের পাশাপাশি বাড়ির ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধরা বাড়ির দেয়াল ভেঙে বুলডোজার প্রবেশ করানোর চেষ্টা করে। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। উত্তেজিত ছাত্র-জনতা সেনাবাহিনীর সদস্যদের "ছাত্রলীগের দালাল" আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এক র্যায়ে তারা সেনাসদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে বারোটার পর নগরীর কালীবাড়ি রোডের সেরনিয়াবাত ভবন ঘিরে হাজারো বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জড়ো হয়। ফেসবুকে আগেই এই হামলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধরা বাড়ির দেয়াল ভেঙে বুলডোজার প্রবেশ করানোর চেষ্টা করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাধা দেয়।

প্রথমে সেনাবাহিনী বুলডোজারের চাবি নিয়ে নেয় এবং বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু উত্তেজিত ছাত্র-জনতা সেনা সদস্যদের "ছাত্রলীগের দালাল" বলে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

সেনাসদস্যদের প্রতিরোধ ব্যর্থ হলে রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী বুলডোজারের চাবি বিক্ষোভকারীদের হাতে তুলে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। এরপরই ছাত্র-জনতা বুলডোজার চালিয়ে সেরনিয়াবাত ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু করে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সাদিক আবদুল্লাহ এই ভবনকে "টর্চার সেল" হিসেবে ব্যবহার করতেন। আওয়ামী লীগ বিরোধী অনেককে এখানে আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

মাহফুজুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এই বাড়ি ছিল ফ্যাসিবাদের প্রতীক। এখানে মানুষ নির্যাতিত হয়েছে, শোষিত হয়েছে। আমরা এই অভিশপ্ত বাড়ি আর বরিশালে থাকতে দেব না।
বিক্ষোভকারী ইয়াকুব মিয়া বলেন,সাদিক আবদুল্লাহর এই বাড়ি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির স্মারক। তাই আমরা এটিকে ধ্বংস করছি।

এর আগেও এই ভবনে হামলা হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট উত্তেজিত জনতা এই ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন ভবনের ভেতরে আটকা পড়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রসহ তিনজন নিহত হন।

এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার একটি ভাষণের পর ফের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভাঙচুরের পর বরিশালে সেরনিয়াবাত ভবন গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনার পর বরিশালে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে নতুন সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়