নিনা আফরিন ,পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর বাউফলে বখাটেদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়ে ইতি দাস (১৯) নামে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নিজ বাসভবন থেকে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইতি উপজেলা দাসপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমির দাসের মেয়ে। সে বরিশাল বিএম কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত ইতির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার সরস্বতী পূজা উপলক্ষে তার বন্ধুর সাথে ঘুরতে বের হন ইতি। দুপুর ১২টার দিকে তারা বাউফল পাবলিক মাঠ সংলগ্ন ঢাকাইয়া ফাস্টফুড নামের একরি রেস্তোরাঁয় বন্ধুর সাথে খেতে যান। সেখানে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা মহসিন হাওলাদারের ছেলে রিদয় রায়হান তাদের একসাথে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং উভয়ের পরিবারের অভিভাবককে ডেকে আনতে বলেন। তারা অভিভাবকদের ডাকতে রাজও না হলে রিদয় বাউফল থানায় খবর দিলে এসআই শাহিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে যান এবং জিজ্ঞাস্যবাদ শেষে ছেড়ে দেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইতি বাড়ি ফিরে নিজের কক্ষে চলে যান। সন্ধ্যার সময় তাকে ডাকতে গেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পান।
এ বিষয়ে রিদয় রায়হান বলেন, তিনি তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দিতে বলেন। পরিবার না আসায় পুলিশের কাছে বিষয়টি হস্তান্তর করা হয় এবং মেয়েটি কান্না করতে করতে চলে যায়।
বাউফল থানার এসআই শাহিন গনমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড হচ্ছে রিদয়। সোমবার থানায় এক ছেলে এসে বলে আমাদের মটর সাইকেল আটকে রেখেছে ,পরবর্তীতে আমি গিয়ে মটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তখন রিদয় আমাকে বলে এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে যে মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় আছে তা জানতাম না। আমি তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি কিন্তু তারা তা করেনি ।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ইতি দাসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
আপনার মতামত লিখুন :