হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথার বালিয়া বাজার ও গট্টি এলাকায় একেরপর এক চলছে হাতুড়ি বাহিনীর তান্ডব। কয়েকদিন পরপরই চলছে হাতুড়িপেটার ঘটনা। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে সুজন নামের এক কৃষক ও কৃষকদলের হিরু মোল্লা নামের এক সমর্থককে হাতুড়িপেটা করা হয়। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের পাটপাশা বালিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক মাতুব্বরের ছেলে ইকরাম মাতুব্বরকে হাতুড়ি পেটা করা হয়। এর এক সপ্তাহ না পেরোতেই ৭ জানুয়ারী বালিয়াগট্টি বাজারের সাইফুর রহমান শাওনকে হাতুড়িপেটা করা হয়, এর তিন সপ্তাহ না পেরোতেই ৩১ জানুয়ারী আতিক শেখকে হাতুড়ি পেটা করা হয়।
এভাবে প্রতিনিয়ত হাতুড়িপেটার ঘটনায় ওই এলাকায় হাতুড়িপেটা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। তবে, অদৃশ্য কারণে কেউ থানায় মামলা কিংবা অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না। এছাড়া একই এলাকায় কাসেম বেপারী নামের এক যুবকের হত্যাকে পুঁজি করে কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ফরিদা বেগম নামের এক নারী বাদী হয়ে একটি চাঁদাবাজি মামলা থানায় করলেও অদৃশ্য কারণে আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এদের মধ্যে কেউ কেউ হাতুড়ি বাহিনীতে নাম লেখিয়েছেন।
এব্যাপারে সালথা উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসাইন বলেন, এই হাতুড়িপেটার ঘটনা বড় দুঃখজনক। কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় একের পর এক হাতুড়িপেটার ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আজ আমার চাচা হিরু মোল্যাকে পিঠে, হাতে ও পায়ে হাতুড়ি পেটা করা হয়েছে। হিরু মোল্যা কৃষক দলের সমর্থক।
তিনি আরও বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী ও আ'লীগের নেতাকর্মী বিএনপির নাম ধারণ করে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। এদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
এব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, আমরা প্রতিটা ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। এছাড়া আমি নিজেও ঘটনাস্থলগুলোতে যাচ্ছি। তবে কেউ মামলা কিংবা অভিযোগ দিতে রাজি হচ্ছেন না। তবে, বিষয়গুলো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কাজ করবো।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল বলেন, হাতুড়ি পেটার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
আপনার মতামত লিখুন :