পাবনার সুজানগরে পুলিশের গাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় জনতা। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুজানগর উপজেলার মথুরাপুর স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আব্দুল ওহাব সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলার আসামি তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আব্দুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা দৌড়ে এসে গাড়ি গতিরোধ করে এবং পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওহাবকে গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেন।
স্থানীয়রা জানান, আসরের নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিল ওহাব ৷ এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মুহুর্তেই এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মথুরাপুর, নারায়ানপুর, ভবানীপুর ও বলরামপুর সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এসে জড়ো হন এবং পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ওহাবকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় ওই সকল এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন ওহাব ও তার সমর্থকরা।
এ ব্যাপারে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নারী ও পুরুষ জানান, নামাজ আদায় করে বের হন চেয়ারম্যান। তখন তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত এসে পুলিশের থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছি। আমরা থাকতে আমাদের চেয়ারম্যানকে কেউ নিতে পারবে না। যে মামলা উনার বিরুদ্ধে দিয়েছে, সেগুলো সব মিথ্যা ও ভুয়া অভিযোগে। চেয়ারম্যান কোনো অপরাধ করে নাই। তিনি আমাদের মাথার ওপর ঢাল হয়ে আছে। বিপদে আপদে পাশে থাকেন। তাকে পুলিশ অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করবে, আমরা সেটা হতে দেব না।
এ বিষয়ে জানতে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফার অফিসিয়াল নম্বরে ফোনকল দিলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন। পরে আবার কল দিলে তিনি ধরেননি।
এদিকে এ ঘটনার পর বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীরা সুজানগর বাজারে চারটি দোকানে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ আ .লীগের কর্মী সমর্থকদের। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বাজারের অন্যান্য দোকানপাটও বন্ধ করে দেন দোকানিরা। এছাড়া কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। উৎস: দেশ রুপান্তর ও আজকের পত্রিকা।
আপনার মতামত লিখুন :