শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যেতে বাধা পেয়ে শাহবাগে আহতদের অবস্থান (ভিডিও) ◈ মসজিদ থেকে বেরিয়ে আটক আ.লীগ নেতা, পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিল গ্রামবাসী ◈ নিহত যুবদল নেতার পারিবারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বৈঠক ◈ অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ’, রিকশায় করে নিয়ে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে ◈ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা দরকার: টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন ◈ এক মাস ধরে আমার পরিবার বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে খাচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন ফখরুল, খসরু, লন্ডন থেকে যাচ্ছেন জাইমা রহমানও ◈ খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চিঠি ◈ শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের, অবরোধ ঘিরে সতর্ক পুলিশ ◈ ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করল যেসব দেশ

প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৬:৪৫ বিকাল
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যা মামলায় সাবেক এমপি আমানুরসহ ৪ ভাই খালাস

আরমান কবীর : টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে এই মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানা, তাঁর তিন ভাইসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। 
 
টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁশুলি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে
 
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন মোহাম্মদ আলী ও কবির হোসেন। মোহাম্মদ আলী ২০১৪ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফারুক হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁর জবানবন্দিতে এই হত্যার সঙ্গে আমানুর রহমান ও তাঁর ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তিনি পলাতক। অপর দণ্ডিত কবির হোসেন ২০১৪ সাল থেকে আত্মগোপনে আছেন।
 
বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছেন সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান (রানা), তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান (মুক্তি), ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন) ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা)। বাকি ছয় খালাসপ্রাপ্ত হলেন সানোয়ার হোসেন (সানু), নূরু, বাবু, ফরিদ হোসেন, মাসুদুর রহমান ও আলমগীর হোসেন। মামলা চলাকালে দুই আসামি আনিসুল ইসলাম (রাজা) ও মো. সমীর কারাগারে মারা যান।
 
রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে সহিদুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা আসামি বাবু ও নূরু হাজির হন।
 
রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইদুর রহমান বলেন, দণ্ডিত দুজনকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের ব্যাপারে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম (রাজা) ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁরা আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান ও তাঁর তিন ভাইয়ের নাম আসে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াহেদ, আবদুল খালেক ও সনি আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতে হত্যার বর্ণনা উঠে আসে। এরপর চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান। আমানুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিন বছর হাজতে থাকার পর জামিন পান। ৫ আগস্টের পর তিনি আবার আত্মগোপনে চলে যান।
 
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম (রাজা) ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁরা আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান ও তাঁর তিন ভাইয়ের নাম আসে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াহেদ, আবদুল খালেক ও সনি আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতে হত্যার বর্ণনা উঠে আসে। এরপর চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান। আমানুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিন বছর হাজতে থাকার পর জামিন পান। ৫ আগস্টের পর তিনি আবার আত্মগোপনে চলে যান।

রায় ঘোষণার পর নিহত ফারুক আহমেদের ছেলে আহমেদ মজিদ মুঠোফোনে বলেন, মামলা দায়ের থেকে তদন্ত, আদালতে অভিযোগ গঠন, সাক্ষ্য গ্রহণসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আসামিরা বিচারপ্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই মামলার আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী নেতারা। তাঁরা ৫ আগস্টের পর আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এসব আইন কর্মকর্তা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। এর আগেও যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আসামিদের ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়