এ এইচ সবুজ, গাজীপুর: 'গন্তব্য যেখানেই হোক, সাইকেল-ই-সেরা সঙ্গী' এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ভ্রমণ করতে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদরের তাজউদ্দিন আহমদ চত্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছেন মো: খলিল হোসেন (২৬) নামের অনার্স শেষ করা এক শিক্ষার্থী।
রবিবার (১২ জানুয়ারি ) তাজউদ্দিন আহমদ চত্বর থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কনকনে শীত উপেক্ষা করে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গাজীপুরে রাত্রি যাপন করে পরদিন সকালে সার্কিট হাউস থেকে রাজধানী ঢাকার জিরো পয়েন্টে পৌঁছান খলিল। জিরো পয়েন্ট থেকে পয়েন্ট থেকে প্রথমে যান মানিকগঞ্জ। সেখান থেকে টাঙ্গাইল হয়ে জামালপুর। এভাবেই ইতোমধ্যে তার ২৬ টি জেলা সাইক্লিং করে ঘুরে ফেলেছেন।
'শিক্ষা,ক্রীড়া এবং সেবা দিয়ে গড়ে তুলবো আমাদের সমাজ' এই শ্লোগানে এগিয়ে চলা কাপাসিয়ার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "ফরাজী ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন" তার এ ভ্রমণে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।
বলছিলাম সাইকেল দিয়ে দেশের ৬৪ জেলা ঘুরতে বেরিয়ে পড়া শিক্ষার্থী মোঃ খলিল হোসেনের কথা। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে তার জন্ম। মোঃ আবুল হোসেন- মাজেদা বেগম দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে খলিল তৃতীয়।
নিজ গ্রামের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ঘাগটিয়ার আলহাজ্ব রেজাউল হক টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। পরে গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
৬৪ জেলা ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে মোঃ খলিল হোসেন বলেন, চিন্তাটা প্রথমে মাথায় আসে সোস্যাল মিডিয়ায় যখন দেখি অনেক মানুষ দেশ- বিদেশে ভ্রমণ করে বিভিন্ন মাধ্যমে। আমিও না হয় সাইকেল চালিয়ে পুরো দেশ ঘুরলাম। সেই চিন্তা থেকেই বেরিয়ে পড়া। সাইক্লিং আমার ভীষণ পছন্দের। দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে দেখা এবং উপভোগ করা যায়। ৬৪ জেলায় সাইক্লিং করে ঘুরে আসতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৪৫-৫০ দিন।
তিনি বলেন, মূলত ৬৪ জেলা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে হল পুরো বাংলাদেশকে একবার ঘুরে দেখা। প্রতিটি জেলা এবং সেখানকার মানুষের সংস্পর্শে যাওয়া। এছাড়াও নিজ জেলা ছাড়া বাকিসব জেলা ঘুরে দেখা।
এবারের যাত্রা ৪৫-৫০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের দেশটাকে ঘুরে দেখা ইচ্ছা এবং তরুণ প্রজন্মকে জানাতে চাই, নিজের দেশের নাগরিক হয়ে একবার হলেও দেশটিকে ঘুরে দেখা দরকার। হোক সাইকেল চালিয়ে বা গাড়িতে করে না হয় পায়ে হেঁটে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই পড়াশোনা বা এদিক সেদিক কাজ করতে করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি এবং সারাক্ষণ শহরের থাকতে থাকতে এক জায়গায় থাকতে বিরক্ত লেগে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সময় হলে বা সময় বের করে প্রতিটি মানুষের উচিত একবার হলেও দেশটাকে ভ্রমণ করা।
এ বিষয়ে ফরাজী ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির ফরাজী জানান, আমাদের ফাউন্ডেশনের শ্লোগাণের সাথে মিল রেখে সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও মেধাবী তরুণ-তরুণীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। এছাড়াও ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তাদের দুরে রাখতে চাই। এছাড়াও সকলের সহযোগিতায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
আপনার মতামত লিখুন :