শিরোনাম
◈ মাঠের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, অনলাইনেই সংগঠিত হতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ ◈ রাশিয়ায় কাজের প্রলোভনে নিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশিদের (ভিডিও) ◈ মেঘনা নদীর নৌ সীমানায় ডাকাতদলের গোলাগুলি, নিহত ২ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আসন্ন দিনগুলোয় চ্যালেঞ্জ আরো বাড়বে ◈ আবারও বাড়লো ডলারের দাম ◈ বাংলাদেশসহ তিন দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড ◈ ওসিকে পেটানোর হুমকি, সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার ◈ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ কোনটি? জেনে নিন এমন ১০টি দেশ সম্পর্কে ◈ দেখা গেছে শাবান মাসের চাঁদ, আরব আমিরাতে রোজা হবে ৩০টি ◈ ‘যে ৪ শর্তে ফিরতে পারবে আ.লীগ’

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:১১ বিকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

থানা ঘেরাওয়ের পর মুক্তি পেলেন রাজশাহী কৃষকদল নেতা

ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর পবার যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ এবং তার বাবা মো. আলাউদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের অংশ হিসেবে মহানগর কৃষকদলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় শাহমখদুম থানা-পুলিশ আশরাফুল ইসলামকে থানায় নিয়ে গেলে খবর পেয়ে কৃষকদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী থানার সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা থানার ভেতরে গিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন এবং আশরাফুলের মুক্তির দাবিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এছাড়া বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা। রাতেই পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
এ প্রসঙ্গে আশরাফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ আমাকে সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় ডেকেছিল। আমি কিছুই জানি না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

১৪ জানুয়ারির গভীর রাতে রাজশাহীর ভুগরইল মহল্লায় যুবদল নেতা মিন্টুর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। দরজা ভেদ করে একটি গুলি তার বাবা আলাউদ্দিনকে আঘাত করে, পরদিন তিনি হাসপাতালে মারা যান।

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, গুলিবর্ষণের আগে একটি বিরোধ মীমাংসার জন্য এয়ারপোর্ট থানায় বৈঠক বসেছিল। মিন্টু সেখানে এক পক্ষের হয়ে উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকের পরই তার বাড়িতে হামলা হয়।

তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মিন্টুর বাড়িতে হামলাকারীদের দু-একজনের সঙ্গে কৃষকদল নেতা আশরাফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল। কললিস্ট যাচাই করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

শাহমখদুম থানার ওসি মাসুমা মোস্তারিন বলেন, “কললিস্ট বিশ্লেষণ করে আশরাফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, নেতা হিসেবে তার অনেকের সঙ্গেই কথা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ঊর্ধ্বতন নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত এখনো চলছে।”

এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়