চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রাতে ঘরের বাইরে গিয়ে ধর্ষিত হয়েছিল ১৩ বছরের কিশোরী। এখন সে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা; কিন্তু কিশোরী তার পরিবারকে এতদিন এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে ১৮ জানুয়ারি ল্যাবে পরীক্ষা করানোর পর জানা যায় কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরদিন ১৯ জানুয়ারি রোববার কিশোরীকে নিয়ে তার পিতা থানায় গিয়ে বিষয়টি অবগত করেন।
বুধবার ১১ দিন পার হলেও তিনি পাননি আইনি কোনো সেবা। এখন তিনি আত্মহত্যা করতে চান।
এভাবেই একটি জাতীয় দৈনিকের কাছে বিষয়টি বর্ণনা করেছেন কিশোরীর পিতা। পেশায় তিনি দিনমজুর।
কিশোরীর পিতা জানান, তার ১৩ বছরের কন্যার শারীরিক অবস্থার অবনতি ও পরিবর্তন দেখে তার মা ও ঘনিষ্ঠরা এর কারণ জানতে চান। এ সময় সে ধর্ষক হিসেবে প্রতিবেশী মোহাম্মদ আরাফাত নামের যুবকের নাম প্রকাশ করে। সে জিরি ইউনিয়নের মালিয়ারা ইব্রাহিম মেম্বারের বাড়ির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল হোসেনের পুত্র।
তিনি জানান, ঘটনা জানার পর বিষয়টি স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের ইউপি ইউপি সদস্য নিলু বেগমকে জানান। তার পরামর্শে পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পরে ইউপি সদস্যাসহ থানায় যাই। এরপর থেকে কিশোরীর পিতা একাধিকবার থানায় যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয় ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষকের অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে। মামলার কাগজ চাইলেও তাকে গত ১১ দিন ধরে দেননি। ধর্ষিত কিশোরীকে নিয়ম মোতাবেক ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়নি। আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য প্রেরণ করা হয়নি এবং কোনো আলামত উদ্ধার করা হয়নি। এ থেকে ধারণা করছি মামলা নেয়নি পুলিশ। তাদের কারণে দিন দিন নষ্ট হচ্ছে আলামত। এমতাবস্থায় আমি কারো সহযোগিতাও পাচ্ছি না। তাই আত্মহত্যা ছাড়া আমি কোনো পথ দেখছি না।
স্থানীয় ইউপি নারী সদস্য নিলুফা বেগম জানান, ওই ঘটনায় তিনিসহ থানায় গিয়েছিলাম। আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূরকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়; কিন্তু তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। উৎস: যুগান্তর।
আপনার মতামত লিখুন :