সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতাকে পাকপোক্ত করতে ওলামায়ে কেরামকে আওয়ামীলীগ ব্যবহার করেছিলো! হাসিনা কুফরী মতবাদের বিশ্বাসী। শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত কোন আপোষ হবেনা। জুলাই বিপ্লবে আমাদের মাসুম বাচ্চাদের রক্তের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা পেয়েছি। এ স্বাধীনতায় হেফাজতের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। এখন নতুন করে দেশ নিয়ে আবারও চক্রান্ত চলছে। ভারতে যে র এজেন্টরা চক্রান্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে ও লড়াই করতে হবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ৩ টায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা ও মহানগরের আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিলম্বে সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ছাত্রজনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরতন্ত্রের পতনে অর্জিত মজলুমানের বিজয় ও যথার্থ স্বাধীনতার চেতনাকে অর্থবহ করতে ইসলামী শক্তির সুসংহত ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
হেফাজতে ইসলাম কুমিল্লা মহানগরীর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শামছুল ইসলাম জিলানীর সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আল্লামা নুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন রাখেন কুমিল্লা মহানগরের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা আ. রাজ্জাক কাসেমী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বশির উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মুফতি মুশতাকুন্নবী কাসেমী, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় সহকারী অর্থসম্পাদক মাওলানা লোকমান মাজহারী, কুমিল্লা মহানগরের উপদেষ্টা মাওলানা মনির হোসাইন, কুমিল্লা মহানগরের উপদেষ্টা মাওলানা আ. কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা জেলার সেক্রেটারি মুফতি আমজাদ হোসাইন, কুমিল্লা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মুনিরুল ইসলাম কাসেমী, বুড়িচং উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা আনিসুর রহমান আশরাফি প্রমুখ।
এ ছাড়াও কুমিল্লা জেলা, মহানগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা সরকার বরাবর দাবি জানান, সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করতে হবে। আল্লাহ, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে। ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সবধরনের বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :