নাটোর আদালত চত্বরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম (মাসুম)। রোববার দুপুরে আদালতে প্রবেশের আগমুহূর্তে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে তিনি এ স্লোগান দেন। পরে আদালতে প্রবেশের পর ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে তিনি আপত্তি জানান।
রিয়াজুল ইসলাম নাটোর শহরের বড় হরিশপুর এলাকার বাসিন্দা এবং নাটোর-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলামের (শিমুল) ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদরের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা, নির্যাতন, হত্যাসহ সাতটি মামলা আছে।
আদালত সূত্র জানায়, দুপুরে রিয়াজুল ইসলামকে একটি হত্যা মামলায় কারাগার থেকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন আলমের আদালতে হাজির করা হয়। এজলাসে নিয়ে যাওয়ার পথে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে আদালত চত্বরে তিনি হঠাৎ জয় বাংলা স্লোগান দেন। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি তাঁর পায়ে ডান্ডাবেড়ি না পরানোর অনুরোধ করেন। তিনি আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আমি তো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী না। আমাকে কেন ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে?’ পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কাল সোমবার আরেকটি হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য তাঁকে আদালতে হাজির করানোর কথা আছে।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহবুব হোসেন বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে ডান্ডাবেড়ির ব্যাপারে কারাগার থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। হাজিরা শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোস্তফা কামাল বলেন, নিয়মিত মামলায় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনিও আদালতে স্লোগান দেওয়ার বিষয়টি জানেন না।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি বিকেলে পাবনার রূপপুর এলাকায় কয়েকটি মামলার আসামি রিয়াজুল ইসলামকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন নাটোরের কিছু লোক। পরে বিষয়টি তাঁরা নাটোর সদর থানা-পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রিয়াজুলের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা, নির্যাতন, হত্যাসহ সাতটি মামলা আছে। সূত্র: প্রথম আলো
আপনার মতামত লিখুন :