নেত্রকোনার মদনে হালিম নামে জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মীকে পিটিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ওই ব্যক্তির দাঁত ভেঙে গেছে। শুক্রবার বিকালে পৌর শহরের দেওয়ান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই আহতের ভাই বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত হালিম দেওয়ান বাজার এলাকার বাসিন্দা। আর অভিযুক্ত শুভ একই এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে পালন করেছেন।
জানা গেছে, আহত হালিম ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত করে আসছেন। বিগত বছরগুলোতে এ নিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন চালায় প্রতিবেশী রিয়াজউদ্দিনের পরিবার। মামলাও দেয় ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হালিমের ছয় বছর বয়সি মামাতো ভাইকে মারধর করে রিয়াজউদ্দিনের ১২ বছর বয়সি নাতি। এ ঘটনায় হালিমের বড় মামা আহাদ কথা বলতে আসলে রিয়াজউদ্দিনের ভাতিজা আমিন কসাইয়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি শুনে বাজারে ছুটে যান হালিম। এ সময় শুভ, আমিন কসাই ও তার বাহিনী হালিমের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। মাথায় আঘাত পাওয়া ছাড়াও তার একটি দাঁত ভেঙে পড়ে যায়। আহত হালিম বর্তমানে মদন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযোগের বিষয়ে রিয়াজউদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে ছাত্রলীগের ওয়ার্ড সেক্রেটারি ও আমার ভাই সুলতান আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি। আমিও আওয়ামী লীগের কর্মী এটা সত্য। কিন্তু এমনি এমনি তো আর ঝগড়া হয় না।’
কিভাবে এই ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়েছে তা জানতে এই প্রতিবেদককে পরামর্শ দেন রিয়াজউদ্দিন।
এ বিষয়ে মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসনান বলেন, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :