মশিউর রহমান, নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারি পানির ট্যাংকি ভাগ করা নিয়ে বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুরুত্বর আহত হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) সকালে খেজুতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজেলার শেখমাঠিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড রঘুনাথপুর গ্রামের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল সিকদার ও তার ভাই এমাম সিকদার তারা একই এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
জানাযায়, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে সরকারি বরাদ্দকৃত পানির ট্যাংকি উপজেলার খেজুরতলা বাজারে বসে বিএনপি কর্মীদের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়।
এসময় স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদল নেতা হাফিকুলের সাথে বিএনপির কর্মী শুকুরের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে তার দুই ছেলে রাসেল এবং রাহাত শেখ ঘটনাস্থলে চলে আসে। কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেশিও অস্ত্র দিয়ে যুবদল নেতা হাফিজুল সিকদার ও তার ভাই এমাম সিকদারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে শুকুর বাহিনী। এসময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে আহত দুজনকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত যুবদল নেতা হাফিজুল সিকদার জানান, শুকুর একজন ডাকাত, তিনি এলাকায় ডাকাতি সংঘটিত করে থাকে। তার একটি ডাকাতের দল আছে। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শাফিক ভাইকে কটাক্ষ করে কথা বললে আমি প্রতিবাদ করায় শুকুর বাহিনী আমার উপর হামলা করে। শুকুর আমার উপর (কাটা রাইফেল) ঠেকিয়ে দেয় এবং বাহিনীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপ দেয় এতে আমার শারীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। আমার ভাই ঠেকাতে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে।
নাজিরপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: জিন্নাত তাসনিম বলেন, দুজনকেই আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে, তাদের শরীরের কাটার চিহ্ন পাওয়া গেছে আমরা ক্ষতস্থানে সেলাই করে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি।
এ বিষয়ে শুকুরের ছেলে রাসেল জানান, একটি পানির ট্যাংকি নিয়ে কথার কাটাকাটি হলে আমার পিতাকে চায়ের কাপ দিয়ে আঁঘাত করে, আমরা দুই ভাই সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি এবং চায়ের দোকানে থাকা একটি ছুরি হাতে নিলে ধস্তাধস্তির সময় হাফিজুলের গায়ে লেগে যায়। হাফিজুল একজন মাদক ব্যবসায়ী, সে আ’লীগের সময় তাদের সাথে মিসে মাদকের ব্যবসা করত এখনও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকবার পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকতা মো: রুবেল শেখ এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায় নাই।
এ বিষয়ে সেখমাটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো: শফিকুল ইসলাম শাফিক বলেন, শুকুর ডাকাত এনামুলের প্রধান সহযোগী ছিলো, সে তার দলবল নিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে হাফিজুলকে কুপিয়ে চলে যায়। তারা স্থানীয় একটি ডাকাত চক্রো, তার বিরুদ্ধে নাজিরপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত কর্মকর্তা) বিকাশ চন্দ্র জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে কঠোর ভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :