কুমিল্লায় ঘন কুয়াশা, জেঁকে বসেছে শীত
ফারুক আহাম্মদ, ব্রাহ্মণপাড়া ( কুমিল্লা ) প্রতিনিধি : কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মধ্যরাত থেকে ঝরা ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কনকনে শীত জেঁকে বসেছে। চারদিক কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় গাছের পাতা থেকে চুইয়ে পড়ছে শিশির। ফসলের ক্ষেত ও ঘাসে জমেছে শিশির বিন্দু। সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কম। তবু মাঘের এই কনকনে শীত উপেক্ষা করেই খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষ ছুটছেন কাজের উদ্দেশ্যে। খেটে খাওয়া কৃষকরা শীতে জবুথবু হয়েই বোরো ধানের পরিচর্যা করছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজনকে ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, এ বছর তেমন একটা শীত পড়েনি। তবে মাঘ মাস শুরু হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গতকাল মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়ায় এ অঞ্চলে এযাবৎকালের তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের পোশাক পরেও শীত নিবারণ হচ্ছে না।
জমিতে বোরো ধান পরিচর্যা করছেন কৃষক হুমায়ুন মিয়া। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহালক্ষীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, মাঘ মাস আসার পর থেকে এই এলাকায় তীব্র শীত অনুভব হচ্ছে। আজকে ঘন কুয়াশা পড়ার কারণে শীতের তীব্রতা আরও বেশি। দীর্ঘভূমি বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আমির হোসেন বলেন, সাধারণত মাঘ মাসে শীত বেশি পড়ে। এখন মাঘ মাস চলছে, তাই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গতকাল রাত থেকেই কুয়াশা বৃদ্ধি পেয়েছে, যেকারণে শীতের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শীত বেড়েছে। তবে আজকে শীতের তীব্রতা আরও বেশি। এ সময়টায় শীতজনিত অসুস্থতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ সময়টায় বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।তিনি বলেন, এখন ঘন কুয়াশা পড়ছে। তাই এ সময়টায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। শিশু ও বয়স্কদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরাতে হবে। কুসুম-গরম পানি পান করতে হবে। এতে অসুস্থতা এড়ানো সম্ভব।
আপনার মতামত লিখুন :