শামীম মীর গৌরনদী : গত আ’লীগ শাসনামলে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে যুবদল কর্মীকে গুরুতর আহত ও বোমা হামলা করার অভিযোগে বরিশালের গৌরনদীতে সাবেক পৌর মেয়র ও চার পৌর কাউন্সিলরসহ উপজেলা আ”লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬৪ নেতাকর্মীর নামোল্লেখসহ ১০৪ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক আইনে ১টি মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে।
গৌরনদী পৌরসভার বড় কসবা এলাকার যুবদল কর্মী মাসুম হাওলাদার বাদি হয়ে বরিশাল সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে নালিশী অভিযোগ দায়ের করলে আদালতের বিচারক অভিযোগটি গৌরনদী থানার ওসিকে নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেন। আদালতে দায়েরকৃত মামলার নথিসহ আদালতের নির্দেশ পেয়ে গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া সোমবার সন্ধ্যায় অভিযোগটি থানায় নথিভূক্ত করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- গৌরনদী উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. হারিছুর রহমান, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুন্সী, প্রচার সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম টিটু, সাবেক পৌর কাউন্সিলয় কাজী তৌফিক ইকবাল সজল, ইক্তিয়ার হাওলাদার, আমিনুল ইসলাম শাহিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. মনির হোসেন, খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. ফরিদ বেপারী, সাধারন সম্পাদক জব্বার বেপারী, পৌর যুবলীগের নেতা রায়হান ফকির, কাওছার ফকির, গৌরনদী ইউএনও অফিসের পিয়ন শিপন হাওলাদার প্রমূখ।
বাদি মামলায় উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রয়ারি সকালে আসামিরা বাদির বাড়িতে ঢুকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা একাধিক বোমা নিক্ষেপ করলে বোমার আঘাতে বাদি গুরুতর আহত হয়।
গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, আদালতে দায়েরকৃত মামলার নথিসহ আদালতের নির্দেশ পেয়ে সোমবার মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। এই মামলাসহ ১৩/১৪টি মামলার প্রধান আসামি সাবেক পৌর মেয়র হারিছুর রহমান বর্তমানে বরিশাল কারাগারে রয়েছে
আপনার মতামত লিখুন :