শিরোনাম
◈ বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ অফিস ফাঁকির অভিযোগে ◈ বিমানবন্দরে গ্রেফতার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ◈ হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে অনেক হোটেল-রেঁস্তোরা ◈ আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ পরিবর্তন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা, বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবের নাম ◈ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান  হান্নান অস্ত্রসহ গ্রেফতার  ◈ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস ◈ নতুন রাজনৈতিক দল আসছে ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে (ভিডিও) ◈ জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা ◈ ‘দায়মুক্তি’ শিরোনামে আওয়ামী লীগের লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:৩১ দুপুর
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্ট্রিটলাইট বাতি আছে আলো নেই,বেড়েছে চুরি,ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ

মোঃ আদনান হোসেন,ধামরাই : দেখভালের অভাবে কাক্সিক্ষত সুফল মিলছে না ঢাকা- আরিচা মহাসড়কে। কোটি কোটি টাকার স্ট্রিট লাইট পড়ে আছে খাম্বার উপরে।ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে স্ট্রিটল্যান্ডে বাতি আছে আলো নেই। বেড়েছে চুরি,ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ।

ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসগকে স্ট্রিট লাইট স্থাপনের কয়েক মাসের মধ্যে তা দেখতে অনেকটাই খেলনা লাইটের মত হয়ে গেছে। মহাসড়কে স্ট্রিট লাইটে বাতি থাকলেও আলো জ্বলে না কোন জায়গায়। নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে এগুলো রক্ষানাবেক্ষণ ও সংস্কার বা দেখভালের কথা থাকলেও ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছে না  সড়ক ও জনপথের লোকজন। ফলে দেখভালের অভাবে কাক্সিক্ষত সুফল পাচ্ছে না সাধারণ জনগণ। এতে মহাসড়কে প্রতি নিয়ত বেড়েই চলেছে চুরি,ডাকাতি,ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ।

সাধারণ জনমনে প্রশ্নউঠেছে,মহাসড়কে নিন্মমানের স্ট্রিট লাইটের যন্ত্রাংশ সংযোজন করে একটি সিন্ডিকেট এই বরাদ্দের বেশির ভাগ অর্থই হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তাদের উপরে। এই দিকে স্ট্রিট লাইট গুলি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত না করায় অন্ধকারে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মহাসড়কে জনপথের সাধারণ মানুষকে।

এইদিকে মহাসড়কে বাতিগুলো না জ্বলায় সরকারের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন পথচারী জনগণ। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় নয়ারহাট ও ধামরাই ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের অধিকাংশ স্ট্রিটলাইট গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে।তবে স্ট্রিটলাইটের খুঁটিগুলো ঠিক দাঁড়িয়ে আছে জায়গায়। অনেক স্থানে দেখাযায় লাইটগুলো হারিয়ে গেছে। এছাড়া মহাসড়কের পাশে অনেক যাত্রীছাউনীর ল্যাম্পপোস্টের লাইটগুলোর অধিকাংশ এক একটি খেলনার মত দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলোও এখন অকেজো ও দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে।নয়ারহাট, ধামরাই ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত অনুমানিক প্রায় ৫০০এর অধিক স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে।এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানে পথচারীদের সুবিধার্থে স্ট্রিটসোলার লাইট গুলো বসানো হয়েছে। এই মহাসড়কে এসব লাইটগুলো দেখভাল করার দায়িত্ব কার এমন প্রশ্ন সাধারণ জনগণের। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে স্ট্রিটলাইটগুলো দেখার দায়িত্ব হচ্ছে সড়ক ও জনপথের লোকজনের। কিন্তু তারা লাইটগুলো লাগিয়ে যাওয়ার পর আর সেগুলো কোন খবর  বা সংস্কার করে না। ফলে দিনের পর দিন পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে যায়। 

এই বিষয়ে ধামরাই ঢুলিভিটা সিএনজি পাম্পের পূর্বপাশে কার সেন্টারের মালিক মোঃ শফিক আহম্মেদ বলেন, নিন্মমানের যন্ত্রাংশ বা উপকরণ দেওয়ায় সড়কের বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। রাত হলেই রাস্তার দুই পাশ দিয়ে নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার। যার ফলে মহাসড়কে দিন দিন বেড়ে চলেছে চুরি,ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ। স্থানীয় কতৃপক্ষকে বারবার বলার পরও বাতিগুলো ঠিক করছে না। আমরা রাস্তার পাশে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে যাচ্ছি। লাইট গুলো থাকলে আমাদের জন্য অনেক ভাল হয়।
 এই বিষয়ে সুরুজ নামে এক গাড়ীর চালক বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। যেখানে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা গাড়ী চলাচল করে। বিশেষ করে রাতের বেলায় লাইটগুলো চালু থাকলে আমাদের গাড়ী চালাতে সুবিধা হয়। এ ছাড়া রাতে রাস্তার পাশে অপরাধও কম হয়।
এই বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই উপজেলার শাখার সভাপতি এম নাহিদ মিয়া জানান, সড়কে দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়কের ক্রটি ও অব্যবস্থাপনা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কাজের ধীরগতি। এছাড়া নয়ারহাট ও ধামরাই ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত মহাসড়কে স্ট্রিটলাইট গুলো দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এতে যানবাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে বিরম্বনার স্বীকার হচ্ছে, ফলে সড়কে বাড়ছে দূর্ঘটনা। রাস্তায় বাতিগুলো না থাকায় পথচারীরা অন্ধকারে ছিনতায়ের কবলে পড়ছে।

এই বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,মহাসড়কে স্ট্রিটলাইট গুলো বন্ধ থাকার কারণে রাস্তার পাশে অপরাধীরা বিভিন্ন ধরণের দূর্ঘটনা ঘটায়। এছাড়া লাইটগুলো থাকলে পুলিশের কাজ করতে সুবিধা হয়। 

এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথের উপ সহকারী-প্রকৌশলী মোঃ ওসমান গনি সাংবাদিকদের বলেন, নয়ারহাট, ধামরাই থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত স্ট্রিটলাইটের তার ও যন্ত্রাংশ চুরি করে নেওয়ার কারণে লাইট গুলো বন্ধ আছে। এর আগে চুর ধরে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে কয়েকবার। স্ট্রিটলাইট বন্ধের বিষয়ে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, অতি দ্রুত লাইটগুলো মেরামত করে চালু করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়