জাকারিয়া জাহিদ,কুয়াকাটা(পটুয়াখালী )প্রতিনিধি : সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটি এবং পর্যটন মেলার কারণে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজীর তথ্য অনুযায়ী, কুয়াকাটার প্রায় ৮০% হোটেল ইতোমধ্যেই বুকিং হয়ে গেছে।শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি কুয়াকাটায় মাসব্যাপী পর্যটন মেলার আয়োজন চলছে। এই মেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, স্থানীয় পণ্যের প্রদর্শনী এবং বিনোদনের বিশেষ আয়োজন রয়েছে, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটার শুটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। আগত পর্যটকরা সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠছেন। আবার কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ডেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ ছাড়া কুয়াকাটার পশ্চিমে সমুদ্র পথে ফাতরার বন,, লাল কাঁকড়ার চর, , শুটকি পল্লী, সোনাকাটা ফকিরহাট এবং সমুদ্রের মাঝখানে জেগে ওঠা অতিথি পাখি ও লাল কাঁকড়া সমহর বিশিষ্ট চর বিজয় ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ্য করে গেছে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক হামিদ বলেন, “কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নিরিবিলি পরিবেশ সত্যিই মনোমুগ্ধকর। এখানকার সৈকতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে আসা সার্থক মনে হচ্ছে। মেলা উপলক্ষে আরও বেশি আনন্দ পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেনসহ অনেকেই জানিয়েছেন, পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন সেবা খাতগুলোতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজকে অনেক পর্যটরের আগমন হয়েছে আমাদের বেচাকেনা অনেক ভালো ।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা সকল পর্যটকদের সেবা দেওয়া ও আইনি সহায়তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটকদের আনাগোনা । তাদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে। সার্বক্ষণিক মাইকিং করে পর্যটকদের সকল বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :