শিরোনাম
◈ ‘দায়মুক্তি’ শিরোনামে আওয়ামী লীগের লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা ◈ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: ট্রাম্পকে সৌদির পাল্টা জবাব ◈ এবার যশোরেও ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি ◈ যুব চ্যাম্পিয়নশিপে  ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার কষ্টের জয় ◈ লন্ডনে লিফলেট বিতরণে যে নাটক করলেন আওয়ামী লীগ নেতারা, নিতে প্রত্যাখ্যান ব্যবসায়ী! (ভিডিও) ◈ গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক কতটা? ◈ জামায়াত এখনই নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করছে কেন? ◈ আসিফ-নাহিদরা পদত্যাগ করলেও সরকারে থাকতে পারেন ছাত্র প্রতিনিধি ◈ ঢাকার সড়কে চালু হচ্ছে গোলাপি রংয়ের ২,৬১০টি বাস ◈ চৌকিতে আমু ফ্লোরে ঘুমান সালমান, খাবার অনেক সময় গন্ধ হয়ে যায়: যেমন কাটছে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কারাজীবন

প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:৪৩ দুপুর
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লক্ষ্মীপুরে ডা. ফয়েজ হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমদকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে (১৬ জানুয়ারি) ডা. ফয়েজ আহমেদের ছেলে ডা. হাসানুল বান্না চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেন। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমদকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যা করে র‍্যাব। হত্যার পর তাকে বাসার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়া হয়। গভীর রাতে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মূল পরিকল্পনাকারী র‍্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ বলে অভিযোগ করা হয়। তাকেও আসামি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনাটির সুষ্ঠ বিচারের প্রত্যাশা ভুক্তভোগীর পরিবারের।

ডা. হাসানুল বান্না বলেন, ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডা. ফয়েজ আহমেদ এর নিজ বাসার ছাদে নিয়ে পিটিয়ে, গুলি করে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়। ডা. ফয়েজ আহমেদ অত্যন্ত মানবিক ডাক্তার হিসেবে পরিচিত এবং লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ছিলেন।

হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহি উদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহাম্মদ ছিদ্দিকী, সাবেক এ.ডি.জি র‍্যাব মেঃ জেঃ জিয়াউল আহসান, র‍্যাব-১১ এর সাবেক সি.ই.ও তারেক সাইদ মোহাম্মদসহ ৪১ জনকে আসামী করা হয়েছে।

ঐদিন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারি বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে র‍্যাব এর স্টিকার যুক্ত একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলের আমাদের বাসায় এসে লোহার গেট ভেঙে ফেলে এবং ডা. ফয়েজ আহমেদকে নিজের বাসার দ্বিতীয় তলার কক্ষ থেকে ধরে নিয়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়া যায়। এই সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা (আসামীগন) বিল্ডিংয়ে ঢোকে সকল কক্ষের দরজার তালা ভেঙে তল্লাশী ও ভাঙচুর চালায়।  

আসামীগণ ডা. ফয়েজ আহমেদকে ছাদে নিয়ে তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে ডা. ফয়েজ আহমেদ এর মাথার ও নাকে-মুখেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নির্দেশে আসামী তারেক সাইদ মোহাম্মদ তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ডা. ফয়েজ আহমেদকে গুলি করে এবং এ সময় আসামীগণ গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ডা. ফয়েজ আহমেদকে তৃতীয় তলার ছাদের ওপর থেকে ফেলে দেয়। এ সময় ডা. ফয়েজ আহমেদ এর ছোট ছেলে আমার ভাই বেলাল আহমেদ বাসার ছাদের কার্নিশে লুকানো অবস্থায় এসব ঘটনা দেখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়