মো:আদনান হোসেন ধামরাই ঢাকা থেকে : ঢাকার ধামরাই উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে এই দিনটিকে ঘিরে ঐতিহ্যময় সাকরাইন মেলা হয়। ঘুড়ি ওড়ানো, মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি ও বিভিন্ন রকমের খাবার বিক্রি এই মেলার অন্য তম আকর্ষণ।পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ধামরাই ১১টি স্থানে তিন দিনব্যাপী সংক্রান্তি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বুড়াবুড়ির মেলা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪জানুয়ারি -২০২৫) কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর থেকে চলছে ধামরাইয়ের ঐতিহাসিক শ্রীশ্রী যশোমাধব দেবের যাত্রাবাড়ীস্হ রথযাত্রা মেলাঙ্গনের মাঠে ঐতিহ্য বাহী সাকরাইন উৎসব-২০২৫ধামরাই সদরইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে বিকেলে বসবেমেলা চলবে রাত অবধি।
ধামরাই পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের আইঙ্গন এলাকায় আবার কোথাও আজ সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোথা ও বিকেলে,কিছু এলা কায় আগামীকাল এভাবে আগামী তিনদিন বিভিন্ন সময়ে মেলা অনুষ্ঠিত হবে ধামরাইয়ের কালামপুর, সোমভাগ, সানোড়া,রোয়াইল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে, হাজিপুর, বাড়িগাও, সীতিপাল্লী সহ বিভিন্ন এলাকায়।
বাঙালি সংস্কৃতিতে পৌষ মাসের এই শেষ দিনটি নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হয়।” প্রতিবারের মতো এবারও ধামরাই পৌরসভার ঐতিহাসিক শ্রীশ্রী যশোমাধবদেবের মন্দিরও রথোৎসব এর মেলাঙ্গনের মাঠে পৌষ মেলায় আগত দর্শনার্থী এই অঞ্চলের ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী- পেশার হাজার হাজার মানুষ মেলায় আগমন ঘটেছে।মেলায় হরেক রকম দোকানীরা নানা কুটিরজাত শিল্প সরঞ্জাম জিনিস পত্র নিয়ে পসরা বসিয়েছে।
এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ ঘুড়ি উড়ানো এবং হরেক রকমের খাবার। মেলায় খই, বিন্নি,বাতাসা, চিনির তৈরীর খেলনা, ভাজা পেঁয়াজো, চানাচুর, বাদাম, মাটির তৈজষপত্র, বাঁশ-বেতের তৈজষ পত্র, বাচ্চাদের খেলনার দোকান সহ চটপটির ষ্টল গুলোতে প্রচন্ড ভীড় দেখা যায়।সকল ধর্মের মানুষ এই মেলায় ভীড়করে গৃহস্থালীর প্রয়োজ নীয় মাটির তৈরি জিনিষপত্র কেনার জন্য।
বলাবাহুল্য এদেশের প্রতিটি লোক-উৎসবেই রয়েছে গ্রামীণ কুটির শিল্পজাত পণ্যের সমাবেশ যাছিল এককালে এদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি । সে যুগে ধামরাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছিল অগনিত কুটিরশিল্প যা এককালে ধামরাইকে কুটির শিল্প নগরী হিসেবে সমৃদ্ধ করেছিল।
আপনার মতামত লিখুন :