শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের আইনে কী আছে পুরুষদের ধর্ষণের বিষয়ে? ◈ কূটনীতিকের কানাডায় পালিয়ে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য, যা বললো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা ◈ ছয় মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেন এমবাপ্পে ◈ ইউএনও’র সহযোগিতায় হুইল চেয়ার পেয়ে আবেগে বললো এবার আমি স্কুলে যেতে পারবো  ◈ যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ জন গ্রেফতার ◈ খুরুশকুলের জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম তিন হাজার ডলার প্রতি আউন্স ◈ নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক: ড. আবদুল মঈন খান ◈ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ নাও হতে পারে ব্রাজিলের

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:১১ রাত
আপডেট : ০৮ মার্চ, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ 

মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে সব জায়গায় এখন হলুদ সরিষার সমারোহ। স্বল্প সময়ে বাড়তি ফসল হিসেবে এই জনপদে প্রতিবছরই বাড়ছে সরিষা আবাদ।

এ বছর সরকারি প্রণোদনার আওতায় ২৪০০ জন কৃষকের মাঝে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে বীজ এবং রাসায়নিক সার। গতবছরের সরিষা চাষে সাফল্যে আশানুরূপ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে এ এলাকার কৃষকরা রবি মৌসুমে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছে। 

উপজেলার যে সব ইউনিয়নে সরিষার আবাদ বেশী হয় সে সকল ইউনিয়নগুলো হল- রছুুল্লাবাদ, বীরগাঁও, বড়াইল, সলিমগঞ্জ, কৃষ্ণনগর, বিটঘর, নাটঘর। এ বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১৫০ হেক্টর কিন্ত চাষ হয়েছে ৪০৫০ হেক্টর জমিতে। যা গতবছরের চেয়ে ১৫ হেক্টর বেশী।

তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, ফ্রীপ প্রকল্প, পার্টনার প্রকল্প এবং রাজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ এবং বালাইনাশক প্রদান করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৪-৫ মন সরিষা উৎপাদন হয়। প্রতি মন সরিষার বর্তমান বাজার মূল্য ২৮০০-৩৬০০ টাকা। 

বীরগাঁও ইউনিয়নের নজরদৌলত গ্রামের কৃষক মো. জাকির হোসেন তার চাষকৃত ৫০ শতক ও মানিক মিয়া ৫০ শতক। কেদারখোলা গ্রামের আক্তার হোসেন ৫০ শতক।
 
নাটঘর ইউনিয়নের কৃষক আমানউল্লাহ ৯ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন তিনি জানান, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি অফিসার কর্তৃক নিয়মিত পরামর্শ পাচ্ছি, এবার ফলন ভালো হবে বলে তিনি আশা করেন। 
 
প্রতিটি জমিতেই তাজা সবুজ সরিষা গাছ গুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে ওঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে।

সরেজমিনে এ সমস্ত এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে কোন কোন জমিতে তাজা সরিষা ফুল/কোন জমিতে ফুল ঝড়তে শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে- চলতি মৌসুমে উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের কৃষক কাউছার জানান- এ বছরই তিনি ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। তার জমিতে সরিষার গাছ গুলো যেভাবে লকলকিয়ে উঠেছে এবং হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে তাতে তিনি এ বছর ভাল সরিষার ফলন পাবেন বলে আশাবাদি হয়েছেন। 

শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাছিরাবাদ গ্রামের কৃষক রফিক জানান, এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় জমিতে সরিষার ফলন ভাল হবে বলে আশা করছেন। সরিষার বাড়ন্ত ফুলে ভরা গাছগুলো দেখে তিনি আশান্বিত হয়েছেন। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, কৃষকদের ভালো বীজ সঠিক সময়ে এবছর সরবরাহ করা হয়েছে। সরিষার সার এবং বালাইনাশক ব্যবহার ঠিক করতে উপসহকারী কৃষি অফিসার কর্তৃক নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশাকরি সরিষার বাম্পার ফলন হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়