শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর গ্রেফতার ◈ মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় সাবেক এমপি অভি খালাস ◈ ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে আমরা সেই কলম ভেঙে দেব : হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও) ◈ প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে: ইসি সচিব (ভিডিও) ◈ চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে: ডিবি প্রধান ◈ ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর, বাধা নেই মুক্তিতে ◈ এবার ভারত থেকে জ্বালানি কিনছে বাংলাদেশ, খরচ ১১৩৭ কোটি ◈ ক্রিস্টিন এবং আমি আর একসঙ্গে নেই, আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি: জয় ◈ পাকিস্তান সুপার লিগে ৬ দলের স্কোয়াড, খেলবে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার ◈ এলপিজিতে সুখবর, কমলো ভ্যাট

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:০২ রাত
আপডেট : ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুষ্টিয়ায় বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে আহত জামায়াত কর্মীর মৃত্যু

ফয়সাল চৌধুরী,  জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে জামায়াতের আহত খোকন আলী মোল্লা (৩৫) নামে এক কর্মী মারা গেছেন। তিনি মিরপুর উপজেলার বুরাপাড়া গ্রামের নওশের আলী মোল্লার ছেলে ও জামায়াতের কর্মী ছিলেন।

সোমবার বেলা ৩ টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান খোকনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম ও আমলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল।

এর আগে ১২ জানুয়ারি রোববার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে বুড়াপাড়া গ্রামে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হন।

আহতরা হলেন- বুরাপাড়া এলাকার ওহিদুল, আবুল হাসেম, জাহাঙ্গীর, মজনু, শরিফুল, খোকন, শফিকুল, আনারুল, রেজাউল, আবুল কালাম আজাদ, আনারুল হক ও হাসান। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের নিজেদের নেতাকর্মী ও সমর্থক বলে দাবি করেছে জামায়াত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে কয়েক দিন ধরেই ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা (মুকুল) ও স্থানীয় বিএনপির কর্মী রাশেদ মাহমুদের (নাসির) মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তাঁরা দুজনেই কমিটির আহ্বায়ক প্রার্থী ছিলেন। অ্যাডহক কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য নাসিমের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন রাশেদ। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত শনিবার রাতে নাসিমকে হুমকি দেন রাশেদ।

এরই প্রতিবাদে রোববার বিকেলে বুড়াপাড়া বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন জামায়াতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এ সময় বিএনপির কর্মী নাসিরের সমর্থকেরা সেখানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও উত্তেজনা শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও  কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে খোকনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। গতকাল বিকেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোকন নামের একজন জামায়াত কর্মী মারা যান।

আমলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির নেতা নাসিরের নেতৃত্বে বিএনপির শতাধিক লোকজন আমাদের কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

মিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, ‘ ঘটনাটি যেহেতু স্থানীয় দুই পক্ষের, তাই এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’

এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার বলেন, সোমবার বেলা ৩ টার দিকে আহত খোকন ঢাকায় মারা গেছেন। তিনি জামায়াতের কর্মী ছিলেন। তাঁর লাশ এলাকায় আনা হচ্ছে।

 তিনি আরোও বলেন, সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমলা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মুকুল হোসেনকে বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রার্থী করা হয়। তিনি সভাপতি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও স্কুলের সভাপতি প্রার্থী নাসির বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেন। এর প্রতিবাদে স্কুল মাঠে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন জামায়াতে ইসলামীর ওই প্রার্থী। এ সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। নাসিরের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এতে আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ও স্কুলের সভাপতি প্রার্থী নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের আহত খোকন নামের একজন ঢাকায় মারা মারা গেছেন। দুই পক্ষের মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়