হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের হরিরহাট বাজারের খেয়াঘাট দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে দুই দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালে হরিরহাট বাজারের শত শত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে শুক্রবার রাতে এবং শনিবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আলগী ইউনিয়নের হরিরহাট বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাট দিয়ে বর্ষা মৌসুমে ব্যবসায়ীদের মালামাল নেওয়া আনা করতো। বর্তমান শুকনো মৌসুমে খেয়া ঘাটের জায়গাটি পরিত্যক্ত পড়ে আছে । এই সুযোগে ওই খেয়া ঘাটের পরিত্যক্ত জায়গায় শুক্রবার সন্ধ্যায় বড়দিয়া গ্রামের রিজু ও আমির নেতৃত্বে দুইটি ছাপড়া ঘর তুলেন। তখন পূর্ব আলগী গ্রামের নাঈম ঘর তুলতে বাঁধা দেয়।
এই নিয়ে বাজারের তাদের মধ্যে কাটাকাটির একপর্যায় হাতাহাতির পরে সংঘর্ষ হয়। রাতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শনিবার ভোরে আবারো দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের ১০ জন গ্রামবাসী আহত হয়।
সংবাদ পেয়ে এলাকার গণ্যমান্য চেয়ারম্যান, মেম্বার ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ বিষয় এখনো পর্যন্ত দুই পক্ষের কেউ ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ দেন নাই।
এ বিষয়ে আলগী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ম, ম সিদ্দিক মিয়া বলেন, আলগী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী হরিরহাট বাজারের জায়গায় ঘর তোলা নিয়ে আমির, লিয়াকত ও নাঈম গং দুই পক্ষের মধ্যে রাতে এবং শনিবার ভোরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয় । সংবাদ পেয়ে আমি (এলাকার চেয়ারম্যান) সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ও ভাঙ্গা থানা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করি এবং দুই পক্ষের মধ্যে বিরাজমান জায়গায় ঘর তিলা নিয়ে যে ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে তাহা সমাধানের চেষ্টা করছি। আমি এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এ্যাসিল্যান্ডের সাথে কথা বলেছি।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ওই এলাকা এখন শান্ত রয়েছে। এব্যাপারে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :