শিরোনাম
◈ বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ অফিস ফাঁকির অভিযোগে ◈ বিমানবন্দরে গ্রেফতার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ◈ হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে অনেক হোটেল-রেঁস্তোরা ◈ আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ পরিবর্তন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা, বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবের নাম ◈ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান  হান্নান অস্ত্রসহ গ্রেফতার  ◈ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস ◈ নতুন রাজনৈতিক দল আসছে ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে (ভিডিও) ◈ জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা ◈ ‘দায়মুক্তি’ শিরোনামে আওয়ামী লীগের লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:৫১ দুপুর
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর সদর উপজেলায় একটি ফিলিং স্টেশন থেকে তুলে নিয়ে ওবায়দুর রহমান খান (৩২) নামের এক যুবককে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারী) সকালে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) বিকেলে সদর উপজেলার কানাইপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মমতাজ ফিলিং স্টেশন থেকে ওই যুবককে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহত ওবায়দুর রহমান খান উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে।ওবায়দুরের বড় ভাই রাজীব খান বলেন, “পুলিশের তালিকাভুক্ত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ খায়রুজ্জামান ওরফে খাজা ও তার বাহিনী আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। আমি হত্যার বিচার চাই।”

তিনি বলেন, “বিকাল ৪টার দিকে ওবায়দুর মমতাজ ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেলে তেল নিতে যান। এ সময় সেখান থেকে অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেলে করে তাকে তুলে নিয়ে যায় খাজা বাহিনীর লোকজন। আমার ভাইয়ের মোটরসাইকেলটিও নিয়ে যায় তারা।

“ওবায়দুরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। ঘণ্টা খানেক পর জানতে পারি, কে বা কারা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তার চোখ খুঁচিয়ে উপড়ে ও একটি পা ভেঙে দিয়েছে।”


ওবায়দুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান বলে জানান রাজীব।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোছা. তাহিরা বলেন, ওবায়দুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহতের মাথায় স্কালপে হেমাটোমা, চোখে আঘাতে রক্তক্ষরণ, বাঁ পা ভাঙাসহ শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন ছিল বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, 'ওবায়দুর সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এ ওসি'।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়