শিরোনাম
◈ ‘বিএনপি কর্মীদের’ হামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ৩ সাংবাদিক আহত ◈ পাঁচদিনের ব্যবধানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা, বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর ◈ আমরা কী করলাম সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ আলজেরিয়ার সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ ◈ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান বাতিলের সুপারিশ ◈ উত্তাল ধানমন্ডি ৩২, ব্যাপক ভাঙচুরের পর বাড়িতে আগুন (ভিডিও) ◈ ধানমন্ডিতে বাসায় কাজের বুয়ার পরিচয়ে চাকরি নিয়ে দুর্ধর্ষ চুরি ◈ রোজায় নয়, গ্রীষ্মে লোডশেডিং হতে পারে : বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে : তারেক রহমান 

প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:৪৩ বিকাল
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাঙারির দোকানে মিলল আদালতের চুরি হওয়া ৯ বস্তা নথি

চট্টগ্রাম আদালতের এক হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম আদালত থেকে চুরি হয়ে যাওয়া ৯ বস্তা নথি ভাঙারি দোকানের গোডাউন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় প্রায় দুই বছর ধরে রক্ষিত ১৯১১টি কেস ডকেট চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ প্রায় ১৯১১টি মামলার নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মহানগর পিপির এখতিয়ারে থাকা অন্তত ৩০টি আদালতে চলমান মামলার নথি এগুলো। হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন আইনজীবীরা।

নথিগুলোর খোঁজ না পাওয়ায় গত রবিবার নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় এক হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। তাই নথিগুলে সেখানে রাখা হয়। তা ছাড়া আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে বলে জানান তিনি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা এক হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। উৎস: দেশরুপান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়